লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন

লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন

ফাইল ছবি

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা মামুনুর রশীদ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৪ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে খালাস দেন আদালত।

বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন। 
ভিকটিম মামুনুর রশিদ সদরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়ব খানের ছেলে। 
রায়ের সময় মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত মধু ও যাবজ্জীবন দÐপ্রাপ্ত টিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। 
মৃত্যুদÐপ্রাপ্তরা হলেন মো. মধু, মো. মামুন, বাবু ওরফে গলাকাটা বাবু, মো. শামীম, কাউছার ওরফে ছোট কাউছার। 
যাবজ্জীবন দÐপ্রাপ্তরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম, নেহাল, মো. বোরহান, মো. তুহিন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, বাছির আহাম্মদ, মো. মিজান, আলমগীর হোসেন, কছির আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ সুজন, মো. টিপন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, সোহেল ও গোলাম রাব্বি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৮ মে দিবাগত রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের আমানী ল²ীপুর গ্রামে বাড়ির পাশ^বর্তী দোকানে যাওয়ার পথে যুবলীগ নেতা মামুনকে গুলি করে পালিয়ে যায় দূর্বত্তরা। পরে তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পরের দিন নিহত মামুনের বড় ভাই ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 
পরে পুলিশ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ রায় দেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এড. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।