ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : শর্ত নয়, পরীক্ষায় বসলেই পোষ্য কোটায় ভর্তির দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : শর্ত নয়, পরীক্ষায় বসলেই পোষ্য কোটায় ভর্তির দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : শর্ত নয়, পরীক্ষায় বসলেই পোষ্য কোটায় ভর্তির দাবি

পাশ ফেলের শর্ত ছাড়াই পরীক্ষায় বসলেই পোষ্য কোটায় ভর্তির দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। দাবি নিয়ে বুধবার সকাল নয়টা থেকে দুই ঘন্টা কর্মবিরতিও পালন করেন তারা। কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ ছাড়া ‘ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি’র ব্যানারে কর্মকর্তা সমিতির শীর্ষ এই দুই নেতা স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয় প্রশাসনকে। গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর পাওয়ার পর বিশ^বিদ্যালয়ে আবেদনের শর্ত থাকলেও তারা এই শর্ত পরিবর্তন করে পরীক্ষায় বসলেই আবেদন ও ভর্তি নেওয়ার দাবি জানান।

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টির পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের পোষ্য কোটায় ভর্তি বিষয়ে বিশেষ সুযোগ প্রদান করে আসছিল। গুচ্ছের অধীনে ভর্তি পরীক্ষা চালু হওয়ার পরেও ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার ন্যুনতম যোগ্যতার শর্তে ২০২০-২১ শিক্ষবর্ষে পৌষ্যদেরকে ভর্তি করা হয়েছে অথচ ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ শিক্ষবর্ষে পোষ্য কোটায় ভর্তির কোন বিশেষ সুযোগই রাখা হয়নি। এই দাবি আদায় না হলে লাগাতার আন্দোলন করা হবে। এর অংশ হিসেবে আগামী ৩০ জুলাই তিন ঘন্টা ও ৩১ জুলাই চার ঘন্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। এরপরও দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে নতুন করে কঠোর কর্মসূচী প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এবিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এ.টি.এম এমদাদুল আলম বলেন, গুচ্ছ একটি অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তারা কোটাধারীদের জন্য কোন বিশেষ সুবিধা রাখেনি। আমাদের সন্তানদের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের ন্যুনতম যোগ্যতা থাকলেই তাদের ভর্তি নিতে হবে। আমাদের এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। তারা যে নম্বরই পাক না কেন ভর্তি নিতে হবে।

এদিকে, গুচ্ছের শর্ত সাপেক্ষে গত ২৫ জুলাই ২০ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ভাইভায় অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আইসিটি সেল আমাদের যে তালিকা দিয়েছিল আনরা সে অনুযায়ী ভাইভা নিয়েছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির মিটিং করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে যেহেতু এটা আমাদের এখতিয়ার ভুক্ত না তাই আমরা তাদের দাবির বিষয়ে গুচ্ছের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে চিঠি পাঠাবো। তারা চাইলে কোটার পাশমার্ক কমাতে পারে।