ঢাবিতে অনুমতি মেলেনি, কোথায় হবে শান্তি সমাবেশ?

ঢাবিতে অনুমতি মেলেনি, কোথায় হবে শান্তি সমাবেশ?

ছবিঃ সংগৃহীত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে পূর্ব ঘোষিত শান্তি সমাবেশের চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে তিনি কালবেলাকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় বিকল্প স্থান খুঁজতে হচ্ছে। অনেকেই আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠের প্রস্তাব দিয়েছেন, তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সম্প্রতি সেখানে বৃক্ষমেলা শেষ হওয়ায় সমাবেশ করার মতো উপযুক্ত আছে কিনা সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে হবে।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠ পরিদর্শনে গিয়েছেন।

এর আগে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে শান্তি সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। শুরুতে মৌখিকভাবে তাদের সেখানে শান্তি সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলেও পরে না করা হয়। সে জন্য তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়াম মাঠে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।

একই দিন রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশ থাকায় ঢাকা নিজেদের দখলে রাখতে ব্যাপক জনসমাগমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো।

জানা গেছে, অন্তত পাঁচ লাখ লোকের সমাগম ঘটাতে ঢাকা ও এর আশপাশের যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অন্যান্য সহযোগী সংগঠন, সংসদ সদস্যদের সঙ্গেও দলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল কালবেলাকে বলেন, সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন। ব্যাপক লোকসমাগম হবে। যুবলীগের পক্ষ থেকে তিন থেকে চার লাখ নেতাকর্মী আসবে শান্তি সমাবেশে।

জানা গেছে, এ সমাবেশ কেন্দ্র করে যুবলীগ তিন লাখ লোকের সমাগমের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ মিলে আরও তিন লাখ নেতাকর্মী সমাগমের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু বলেন, শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা আসছেন। শুধু আমাদের দলের পক্ষ থেকেই অন্তত দেড় লাখ নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবেন সমাবেশে।