ইউক্রেনের একাধিক ভবন ধসিয়ে দিলো রুশ ক্ষেপণাস্ত্র

ইউক্রেনের একাধিক ভবন ধসিয়ে দিলো রুশ ক্ষেপণাস্ত্র

সংগৃহীত

রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র অ্যাপার্টমেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষেবা ভবনে আঘাত করেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহর ডিনিপ্রোতে ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবার একটি আবাসিক কমপ্লেক্স এবং কাছাকাছি একটি ভবনে আঘাত আঘাত হানে এসব ক্ষেপণাস্ত্র। 

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নয়জন আহত হয়েছে এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খবর রয়টার্সের

আঞ্চলিক গভর্নর সেরহি লাইসাক টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছেন, আহতরা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ডিনিপ্রোর মেয়র বরিস ফিলাতোভ বলেছেন, তৃতীয়বারের মতো এসবিইউ নিরাপত্তা সেবা ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। দুটি বিল্ডিংই মূলত খালি ছিল। আবাসিক ভবনের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। এগুলো বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

লাইসাক জাতীয় টেলিভিশনে বলেছেন, 'প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় সময় রাত ৮.৩০ মিনিটে ডিনিপ্রোতে দুটি আঘাত হানে।'

খবরে বলা হয়েছে, 'অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি এখনও ব্যবহার করা হয়নি এবং সেখানে খুব বেশি লোক ছিল না। কিছু লোক আটকা পড়েছিল কিন্তু এখন তারা বাইরে রয়েছে। নিরাপত্তা পরিষেবা ভবনটি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।'

সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ভবনের কিছু অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং একটি বড় উঠান জুড়ে ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে পড়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের হামলা শুরু করে রাশিয়া। যদিও হামলার শুরু থেকেই দেশটি দাবি করে আসছে যে ইউক্রেনের বেসামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয় না।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের শস্য রফতানি চুক্তি স্থগিত করার পর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। সম্প্রতি ইউক্রেনের বন্দর থেকে কৃষ্ণ সাগর হয়ে শস্য রফতানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে সেটি আর বাড়ায়নি রাশিয়া। 

এর ফলে ইউক্রেনে হাজার হাজার টন শস্য নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এছাড়া জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলো জানিয়েছে যে, বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে আফ্রিকায় খাদ্যশস্যের দাম আরও বাড়তে পারে এবং অনেক স্থানে সংকট দেখা দিতে পারে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমার জেলেনস্কি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর তিনি এসবিইউ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জরুরি পরিষেবা এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।