প্রতিদিন সকালে মেসির সঙ্গে দেখা করতে যাই: বেকহাম

প্রতিদিন সকালে মেসির সঙ্গে দেখা করতে যাই: বেকহাম

সংগৃহীত

আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে স্বপ্নের মত অভিষেক হয়েছে লিওনেল মেসির। ইউরোপ ছেড়ে খুঁজে নেয়া নতুন ঠিকনায় নিজের প্রথম ম্যাচেই ফ্রি কিকে দুর্দান্ত গোল করে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। পরের ম্যাচেও করেছেন জোড়া গোল। বিশ্বজয়ী এ ফুটবলারকে কেন্দ্র করেই দিন বদলের স্বপ্ন দেখছে যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবল। এ কারণেই আনুষ্ঠানিক উপস্থাপনার দিন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরকে মিয়ামির মালিক পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন আমেরিকার নাম্বার টেন হিসেবে।

মিয়ামির মালিকদেরই একজন এবং ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ফুটবলার ডেভিড বেকহামেরও একই মত। তার মতে মেসির মিয়ামিতে যোগদান গোটা যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াঙ্গনেই সবচেয়ে বড় দলবদলের ঘটনা। মেসির মিয়ামি অভিষেকের আগে এক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বেকহাম মেসিকে নিয়ে জানিয়েছেন আরও অনেক কথাই।  

দ্যা এথলেটিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে বেকহাম কথা বলেছেন মেসিকে মিয়ামিতে আনার পরিকল্পনা নিয়ে, কীভাবে তিনি জানতে পারেন ফুটবল জাদুকরের আগমণের খবর এবং আরো অনেক বিষয়েই।

মেসিকে দলে ভেড়াতে অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল মিয়ামি। বেশ কয়েকবার মেসির সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে ক্লাবের কর্তাদের। তবুও নিশ্চয়তা ছিল না তাঁর যোগ দেয়ার। কিন্তু অবশেষে মেসির ঘোষণার মাধ্যমেই বেকহাম জানতে পারেন সুসংবাদ।

এ অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বেকহাম বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে আমি জাপানে ছিলাম। ভোর পাঁচটায় জেগে উঠি। কারণ, আমার ফোন বেজেই চলছিল।’ সে সময় স্ত্রী ভিক্টোরিয়া বেকহাম ফোন বন্ধ করে রাখতে বলেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু ফোন হাতে নিয়ে মনে হলো, কী একটা হয়েছে। চশমা পরে ফোনের স্ক্রিনে তাকাতেই দেখি, লিও আসছে! সে নিজেই ঘোষণা দিয়েছে। আমার স্ত্রী এরপর বলল, “কী বোঝাতে চাইছ? সে কিসের ঘোষণা দিয়েছে?” আমি বললাম, টিভিতে এসে লিও নিশ্চিত করেছে যে সে ইন্টার মায়ামিতে আসছে। ওর কথা বলতে গিয়ে আমি রোমাঞ্চিত হয়ে পড়েছিলাম।’

মিয়ামিতে মেসির আগমন বেকহামের জীবনের অন্যতম সেরা ঘটনা বলেও জানিয়েছেন তিনি, বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, এটা (মেসির আগমন) অন্যতম সেরা।’ 

এরপরই বেকহাম জানান, মেসির মিয়ামিতে আসা স্বপ্ন নাকি বাস্তব তা বুঝতে প্রতিদিন সকালে ফুটবল জাদুকরকে দেখতে ছুটে যেতেন তিনি। বেকহাম বলেন, ‘ও কয়েক দিন হলো এখানে (মায়ামিতে) এসেছে। আমি প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটায় ওর সঙ্গে দেখা করতে যাই। নিজেকে বিশ্বাস করাতে চাই যে এটা সত্য।’ 

এদিকে মেসির আমেরিকায় খেলতে যাওয়া আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবেন বলেও জানিয়েছেন বেকহাম। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ জয় ওর অর্জনকে পরিপূর্ণতা দিয়েছে। খেলোয়াড় হিসেবে সম্ভাব্য সবকিছুই সে জিতেছে। ওর কাছে এটা (মায়ামিতে নাম লেখানো) শুধু এ দেশের ফুটবলকে বদলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জই নয়, পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগানোরও। সে যখন মাঠে নামবে, শিশুরা ওর কথা বলবে, ওকে দেখে শিখবে। এ দেশে ফুটবলকে সে আরও বড় পরিসরে তুলে ধরবে। ইতিমধ্যেই সে এটা করে ফেলেছে। শুধু মায়ামি বা যুক্তরাষ্ট্র নয়, এখানে আসার পর পুরো বিশ্ব ওকে নিয়ে কথা বলছে।’