হঠাৎই শাকিবের ব্যাপারে অপুর আচরণ বদলে গেছে

হঠাৎই শাকিবের ব্যাপারে অপুর আচরণ বদলে গেছে

ফাইল ছবি।

সন্তান আব্রাহাম খান জয়কে নিয়ে দুই সপ্তাহ যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে সম্প্রতি বাংলাদেশে এলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ২ জুলাই থেকে সেখানে ছিলেন শাকিব খান। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থায় শাকিব খানের সঙ্গে দেখা গেছে অপুকে। সন্তানের কারণে তাঁরা একসঙ্গে ঘোরাঘুরি করেছেন। সন্তানকে নিয়ে ঘোরাঘুরির ব্যাপারটি শাকিব–অপুর ভক্ত–শুভাকাঙ্ক্ষীরা বেশ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। এদিকে শাকিব খানের সাবেক স্ত্রী চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসও বেশ কিছুদিন ধরে শাকিব ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে ইতিবাচক কথা বলে আসছেন। ভক্তরা বলছেন, হঠাৎ অপুর আচরণ এমন বদলে যাওয়ার কারণ কী?

অপু বিশ্বাস বলেন, ‘প্রথমেই বলব, আমার সঙ্গে শাকিবের দূরত্বটা মোটেও কাম্য ছিল না। এ জন্য শাকিবকে দায়ীও করব না। ওই সময়টায় আমি অপ্রস্তুত ছিলাম। ওই ধরনের অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে যেকোনো কিছু মোকাবিলা করা আমার জন্য অনেক টাফ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি অনেক কিছুই বুঝে উঠতেও পারিনি। অনেক উল্টাপাল্টা কথা বলেছি। আমাকে যে পরে এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, তা কখনোই ভাবিনি। তাই হয়তো ঘরের কথা পরের মতো করে বলে ফেলেছি। একটা সময়ের পর এসব ভাবতে ভাবতে নিজের প্রতি নিজে অনেক কষ্ট পেয়েছি। লজ্জিতও হয়েছি। তখন আমার শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়েও কোনো ভালো উক্তি করিনি।’

কথায় কথায় অপু বিশ্বাস জানালেন, শাকিব খান ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে প্রকাশ্যে এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি বুঝতে পেরেই শাকিবের মা–বাবার সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চেয়েছেন।

অপুর দাবি, ‘একটা সময় এসে যখন তাঁদের (শাকিব খানের মা–বাবা) কাছে গিয়ে আমার ভুল স্বীকার করেছি, তাঁরা বলেছেন, “তোমরা আমাদের সন্তান। আর সন্তানদের কখনো ভুল হয় না।” শাকিবের মা–বাবার কাছে ক্ষমা চেয়েছি।’

অপু বিশ্বাস মনে করেন, একজন তারকাশিল্পী হয়ে জনসমক্ষে এত কথা বলেছেন, তা ঠিক হয়নি বলেও মনে হয়েছে তাঁর। অপু বলেন, ‘আমার উপলব্ধি হয়েছে, ব্যক্তি অপু বিশ্বাসের চেয়ে আমি একজন নায়িকাও বটে। তাই আমাদের কথা দ্রুত ছড়ায়। ওই সময়টায় খেই হারিয়ে অনেক উল্টাপাল্টা কথা বলেছি, যা মোটেও ঠিক ছিল না। ওসব কিছু ভেবে আমি ভীষণভাবে লজ্জিত, অনুতপ্ত। আমি মনে করি, মানুষমাত্রই ভুল হয়। মানুষের বাইরে আমি নই, তাই আমিও ভুলের ঊর্ধ্বে নই। এখন আমার মনে হয়েছে, আমার যেসব ভুল হয়েছে, শাকিবের প্রতি যে অন্যায় আমি করেছি, তাঁর পরিবারের প্রতি যে অপবাদ দিয়েছি—তা আমি শোধরাতে চাই। শোধরাতে চাই বলে এখন সত্যি কথা বলছি, এখানে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নাই।’