চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নষ্ট হচ্ছে ২৫ টন কার্গো পণ্য

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নষ্ট হচ্ছে ২৫ টন কার্গো পণ্য

ছবিঃ সংগৃহীত।

৫ মাস ধরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওয়্যারহাউসে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে প্রবাসীদের আনা ২৫ টন কার্গো পণ্য। হঠাৎ নতুন ব্যাগেজ রুল ঘোষণার পর এসব পণ্য সামগ্রী খালাস আটকে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রবাসী এবং সিএন্ডএফ এজেন্টরা।

সাধারণত রমজান কিংবা ঈদ সামনে রেখে মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে ফেরার সময় নিয়ে আসেন গুঁড়ো দুধ, প্রসাধন সামগ্রী, পোশাক ও নানা গৃহস্থালী পণ্য। কিন্তু গত ২ মার্চ থেকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া হয় ব্যাগেজ রুলের আওতায় আনা প্রবাসীদের এসব পণ্য খালাস। ফলে, আটকে যায় ৯০টি চালানে আসা প্রবাসীদের ২৫ টন পণ্য। দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরের গুদামে পড়ে থেকে যা এখন নষ্ট হওয়ার পথে। বাড়ছে গুদাম ভাড়াও। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা।

প্রবাসীদের একজন বলেন, এখানে পচনশীল অনেক দ্রব্য আছে। যা দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সরকারের কাছে একটাই অনুরোধ, আমার পণ্য যেন আমি তাড়াতাড়ি পাই।

প্রবাসীদের পণ্য আনার বিষয়ে ব্যাগেজ রুলে যৌক্তিক পরিমাণের কথা উল্লেখ রয়েছে। ফলে, এতোদিন প্রতি চালানে তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ কেজি পণ্য আনা যেতো। কিন্তু কাস্টমস বলছে, একশ কেজির বেশি পণ্য আনলে তা বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। যেটাকে অযৌক্তিক বলছেন সিএন্ডএফ এজেন্টরা।

সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চু বলেন, ধরা যাক, আমি চার-পাঁচটি প্রসাধন সামগ্রী বন্ধু-বান্ধবদের জন্য বিদেশ থেকে আনলাম। কিন্তু এ ধরনের পণ্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করলে সেটা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত হয়, আমার বোধগম্য নয়।

তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, ব্যাগেজ রূলের অপব্যবহার করে বাণিজ্যিক পণ্য আনছে একটি চক্র। যে কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসেও একই কারণে প্রায় দুইশ টন পণ্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে আটকা পড়েছিলো।