নির্বাচনের ফল পাল্টানোর প্রচেষ্টায় অভিযুক্ত ট্রাম্প

নির্বাচনের ফল পাল্টানোর প্রচেষ্টায় অভিযুক্ত ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল বদলে দেয়ার প্রচেষ্টায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আবারও ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। এ নিয়ে বিগত চার মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন তিনি। বুধবার কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেয়ার মামলায় অভিযুক্ত হন তিনি। এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র এবং নাগরিক অধিকারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগে বলা হয়েছে, নির্বাচনে পরাজিত হয়েও ট্রাম্প ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিলেন। এ কারণে ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরে তিনি ফলাফলে জালিয়াতি হয়েছে দাবি করেন এবং প্রকৃতপক্ষে তিনিই জিতেছেন বলে মিথ্যা বলছিলেন।

ট্রাম্পের বাক্‌স্বাধীনতা রয়েছে উল্লেখ করে ৪৫ পাতার অভিযোগে বলা হয়েছে, তবে তিনি নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেয়ার জন্য বেআইনি পথ বেছে নিয়েছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো হলো: যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারিত করার চক্রান্ত, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ষড়যন্ত্র, দ্রোহিতায় উসকানি এবং মিথ্যা বিবৃতি দেয়ার ষড়যন্ত্র।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হন। জালিয়াতির অভিযোগ তুলে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফলাফল মানতে রাজি না হওয়ায় বাইডেনের জয়ের সত্যায়নে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন বসে। সত্যায়ন প্রক্রিয়া ঠেকাতে ট্রাম্পের উস্কানিতে তার সমর্থকেরা কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল) হামলা চালায়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের পক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নেতৃত্বদানকারী বিশেষ আইনজীবী জ্যাক স্মিথ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি (কংগ্রেস ভবনে) ওই হামলা ছিল আমেরিকান গণতন্ত্রের আসনে একটি ভয়ংকর আক্রমণ।

নতুন এই মামলায় ট্রাম্পকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ট্রাম্পের এই মামলায় বিচারক নিযুক্ত হয়েছেন মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট জজ তানিয়া চুটকান। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের পক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশেষ আইনজীবী জ্যাক স্মিথ।