যে দেশে রাতেও ঝলমল করে সূর্যের আলো।

যে দেশে রাতেও ঝলমল করে সূর্যের আলো।

সংগৃহিত ছবি।

দিনে সূর্য রাতে চন্দ্র প্রকৃতির নিয়মই এটি। তবে কখনও কখনও রাতও হয় দিনের মতো উজ্জ্বল। অর্থাৎ বিশ্বের কয়েকটি দেশের কিছু স্থানে রাতেও দেখা যায় সূর্য। বিস্ময়কর বিষয় হলেও সত্যিই সেসব স্থানের বাসিন্দারা প্রকৃতির এই অদ্ভূত নিয়মে নিজেদেরকে মানিয়ে নিয়েছেন।

নিশীথ সূর্যের দেশ কোনটি, সে সম্পর্কে নিশ্চয়ই ধারণা আছে! রাতে সূর্য ওঠে এমন দেশের নাম শুনতেই সবার আগে নরওয়ের কথা মনে পড়ে সবারই। কারণ সেখানে রাতেও সূর্য দেখা যায়। সঙ্গে দেখা মেলে মেরুজ্যোতি বা অরোরার সংযোগ। যা আরও রোমাঞ্চকর।

তবে নরওয়ে ছাড়াও বিশ্বের আরও ৬টি স্থান আছে যেখানে রাতে দেখা মেলে সূর্যের। অর্থাৎ সেসব স্থানে সূর্যাস্ত যায় না। সব সময় এমন ঘটনা না ঘটলেও বছরের বেশ কিছু সময়ে অনাকাঙ্খিত এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন সেসব স্থানের বাসিন্দারা-

১.নরওয়ে

উত্তর মেরুর বরফে আচ্ছন্ন থাকে নরওয়ে। সারা বছরই এ দেশে কনকনে ঠান্ডা থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উত্তর মেরুর অরোরার সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে দেয়। গ্রীষ্মকালে নরওয়েতে সূর্যাস্ত হয় না। সব সময়ই সেখানে দেখা যায় গোধূলি। প্রায় ৭৬ দিন পর্যন্ত সেই সূর্যকে নরওয়ের আকাশে দেখা যায়।

তবে শীতকালের দৃশ্য আবার ভিন্ন। শীতে আবার সূর্যাদয় দেখাই যায় না। একইসঙ্গে প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাবু হয়ে যান বাসিন্দারা। আর্কটিক এলাকার দেশ নরওয়েতে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত রাতের বেলাতেও সূর্য দেখা যায়। এসময় সেখানে পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়ে যায়।

২.আইসল্যান্ড

ব্রিটেনের পর এটি ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ রাষ্ট্র। এ দেশের প্রায় ১০ শতাংশই দখল করে রেখেছে হিমবাহ। যদি ঠান্ডার কারণে সেখানে পর্যটকদের ভিড় কম, তবে যারা ঠান্ডায় অভ্যস্ত তারা আইসল্যান্ডের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পিছু হাঁটেন না।

আইসল্যান্ডেও রাতের আকাশে সূর্য দেখা দেয়। জুন মাসে এই নিশীথ সূর্যের সবচেয়ে ভালো দর্শন মেলে। মার্চ ও সেপ্টেম্বর মাসে সেখানে দিন ও রাতের পুরোপুরি অর্ধেক অবস্থান।

আর ডিসেম্বর মাসে দিনের মধ্যে ২০ ঘণ্টাই থাকে রাত। স্থানীয়দের মতে, উত্তর মেরুর অরোরার দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করে দেয়।

৩.নুনাভুট, কানাডা।

৪.ব্যারো, আলাস্কা।

৫.ফিনল্যান্ড।

৬.সুইডেন