তৃণমূলকে দিকনির্দেশনায় আ.লীগের বর্ধিত সভা আজ

তৃণমূলকে দিকনির্দেশনায় আ.লীগের বর্ধিত সভা আজ

ফাইল ছবি

দেশব্যাপী বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে তৃণমূলের নেতাদের নিয়ে বর্ধিত সভা ডেকেছে আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ বর্ধিত সভা থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে ক্ষমতাসীন দলটি।

রোববার (৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি সভায় অংশ নেবেন জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা, দল-সমর্থিত সংসদের দলীয় সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়ররা এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক দফার আন্দোলন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। আওয়ামী লীগ বলছে, শেখ হাসিনার অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আগামী ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান গণমাধ্যমকে বলেন, এ মুহূর্তে দলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া। দলীয় সভাপতি সবাইকে ছোটখাটো ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নির্বাচনের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেবেন।

তিনি বলেন, পাশাপাশি দলের মাঠপর্যায়ের চিত্র কেমন আছে, সে বিষয়ে তথ্য নেওয়া হবে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিশেষ বার্তা দিতেই এই সভা ডাকা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, তৃণমূলে বিভেদ নিরসন ও বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা করে নির্বাচনের বৈতরণি পার হতে চায় আওয়ামী লীগ। এ জন্য বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কৌশল নির্ধারণ ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। পাশাপাশি তৃণমূলের কাছ থেকেও মাঠের প্রকৃত চিত্র জানার চেষ্টা করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত দলের কর্মসূচিগুলো কীভাবে পালন করা হবে, তার নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি সভায় নির্বাচনে কোন্দল ভুলে একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়াও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে নির্বাচনি জনসভার বিষয়েও আলোচনা হবে।

সূত্র আরও বলছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। এরই মধ্যে রাজপথে আন্দোলন করছে বিরোধীদল বিএনপি। এ সময় দলীয় কোন্দলে হলে ঘরে-বাইরে চাপ বাড়বে। তাই বিশেষ বর্ধিত সভায় নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ভুলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা থাকবে।