বন্যাদুর্গত চন্দনাইশ-সাতকানিয়াবাসীর সার্বক্ষণিক খবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

বন্যাদুর্গত চন্দনাইশ-সাতকানিয়াবাসীর সার্বক্ষণিক খবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহিত ছবি।

চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, “স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চন্দনাইশের দুর্গম পাহাড়ি জনপদ ধোপাছড়ি ইউনিয়ন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ণ। রাস্তাঘাট, সবজি ক্ষেত সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে। নিম্নাঞ্চলের অসংখ্য ঘর-বাড়ি ভেসে গেছে। মানুষের অপূরণয় ক্ষতি হয়ে গেছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বন্যাদুর্গত চন্দনাইশ-সাতকানিয়াবাসীর সার্বক্ষণিক খবরাখবর রাখছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি আপনাদের কাছে এসেছি।”

বন্যাকালীন সময়ে পাহাড়ধসে রাস্তাঘাট অচল থাকায় আজ শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে সাঙ্গু নদী হয়ে বোটযোগে চন্দনাইশের দুর্গম এ ইউনিয়নটি পরিদর্শনে আসেন তিনি। এ সময় তিনি ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ও অচল হয়ে পড়া রাস্তাঘাট শীঘ্রই পুনঃনির্মাণের আশ্বাস দেন।

তিনি আরো বলেন, “এদেশের মানুষ দেখেছে যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে কারা অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। এ পর্যন্ত সরকারি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড়া কোনো দলই বন্যাদুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি। বিএনপি-জামায়াত এদেশের জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে না, তারা ক্ষমতার রাজনীতি করে। বিএনপি-জামায়াতের কাউকে দেখা যায়নি এ পর্যন্ত বন্যাদুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়াতে।”

এসময় বক্তব্য দেন ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলীম, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ডাঃ দুলাল কান্তি নাথ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক টিএম সেলিম, ইউপি সদস্য যথাক্রমে টিপু দাশ, নুরুল কবির, জয়নাল আবেদীন, নাসির উদ্দীন, আশরাফ উদ্দীন ভুইয়া, আমানত হোসেন, আবদুল করিম, লাকী আকতার চৌধুরী, জাহানারা বেগম, যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম, জাহাঙ্গীর আলম সোহেল, মো. রুবেল, মো. শাহেদ প্রমুখ।

একই দিন তিনি গত ৭ আগস্ট পাহাড়ি ঢলে শঙ্খনদে ভেসে যাওয়া চিরিংঘাটা গ্রামের মো. খোকনের মায়ের হাতে নিজস্ব তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন এবং সরকারিভাবে আরো সহযোগিতার আশ্বাস দেন।