দুর্নীতির দায়ে দোষী স্যামুয়েলস, পাচ্ছেন শাস্তি

দুর্নীতির দায়ে দোষী স্যামুয়েলস, পাচ্ছেন শাস্তি

মারলন স্যামুয়েলস

দুর্নীতিবিরোধী চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ জেতার নায়ক মারলন স্যামুয়েলস। দ্রুতই তার শাস্তির বিষয়েও ঘোষণা আসবে।

২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করেছিল আইসিসি। ২০১৯ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগের ঘটনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেবার ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগটির কর্ণাটক টাস্কার্সের দলে ছিলেন স্যামুয়েলস। যদিও কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি তার।

জানা যায়, স্যামুয়েলসের বিপক্ষে যে চারটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল, দুর্নীতিবিরোধী স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনালে শুনানির পর সব কটিই প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে নিজের অধিকার স্যামুয়েলস প্রয়োগ করেছেন বলেও জানিয়েছে আইসিসি। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের ভিত্তিতে স্যামুয়েলসকে শাস্তি প্রদান করা হবে। 

অপরাধ প্রমাণিত হবার পর আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ নম্বর ধারা ভেঙেছেন স্যামুয়েলস। এর ফলে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত দুর্নীতিবিরোধী শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী এই উইন্ডিজ তারকাকে।

ট্রাইব্যুনালের সদস্যদের অধিকাংশের সিদ্ধান্তে ২.৪.২ ধারা ভঙ্গের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে স্যামুয়েলসকে। এ ধারায় বলা আছে, কোনো রকমের উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা বা অন্য সুবিধা নেওয়ার তথ্য স্বীকৃত দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাকে না জানানোর মাধ্যমে ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা। বাকি তিনটি ধারায় অবশ্য স্যামুয়েলসকে ট্রাইব্যুনালের সব সদস্যই দোষী মনে করেছেন। ৭৫০ বা এর বেশি ইউএস ডলার পাওয়ার তথ্য গোপন করা, তদন্তে স্বীকৃত কর্মকর্তাকে সহযোগিতায় ব্যর্থতা ও তথ্য গোপন করে স্বীকৃত কর্মকর্তার তদন্ত কার্যক্রম বিলম্বিত করার অভিযোগে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়। 

২০২০ সালে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসরে যান স্যামুয়েলস।