বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা নিয়ে ৫ মন্ত্রণালয়কে ডেকেছে ইসি

বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা নিয়ে ৫ মন্ত্রণালয়কে ডেকেছে ইসি

ফাইল ছবি

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা নিয়ে বুধবার (২৩ আগস্ট) পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় মতামত নেবে ইসি। বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা ‘যুগোপযোগী’ করার পাশাপাশি পর্যবেক্ষকদের যন্ত্রপাতি আনা ও কর অব্যাহতির বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বুধবারের সভায় ভোট পর্যবেক্ষণে আসার জন্য বিদেশিদের আবেদন সীমা, প্রয়োজনীয় কারিগরি সুযোগ-সুবিধা ও প্রাক-নির্বাচনী একটি প্রতিনিধি দলের সুপারিশ পর্যালোচনা করে নীতিমালা হালনাগাদের বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এরইমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রাক অনুসন্ধানী প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অক্টোবরে আসবে মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ দল।

এদিকে আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইইউর ‘যত খুশি নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক’ পাঠানোকে স্বাগত জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি বলছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো এলে সুবিধা হয়। কারণ, আরও কিছু ফরমালিটিজ রয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্সের বিষয় রয়েছে। নিরপেক্ষ অবজারভার পাঠালে যত সংখ্যক ইচ্ছে পাঠাতে পারে। এতে কমিশনের কোনো আপত্তি নেই।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ভোটকে সামনে রেখে বিদ্যমান বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা হালনাগাদ করার লক্ষ্যে বুধবার নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হয়েছে। এতে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন, এনবিআর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা থাকবেন।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, এরইমধ্যে ইইউ প্রতিনিধিরা কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে পর্যবেক্ষকদের কিছু যন্ত্রপাতি আনা এবং ট্যাক্স সংক্রান্ত বিষয়ে সুপারিশ করেছে। সেক্ষেত্রে তাদের সুবিধার্থে নীতিমালায় কী যুক্ত করা যায়, এনবিআর কী মতামত দেয় তা বিবেচনা করা হবে। এছাড়া, আবেদনের প্রক্রিয়া কবে নাগাদ শুরু করা যায়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষককে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নির্বাচন কমিশন জারি করা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।

জানা গেছে, ২০১৮ ও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ ও দশম সংসদ নির্বাচনে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। সেই দুটি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিল তারা।