সাঈদীর মৃত্যুতে শোক, ছাত্রলীগের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী বহিষ্কার

সাঈদীর মৃত্যুতে শোক, ছাত্রলীগের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী বহিষ্কার

ফাইল ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করায় ছাত্রলীগের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (২১ আগস্ট) পর্যন্ত এসব নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

গত ১৪ আগস্ট রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এতে শোক জানিয়ে ফেসবুকে অনেকেই স্ট্যাটাস দেন। এর মধ্যে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের বেশকিছু নেতাকর্মীও রয়েছেন। যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে শোক জানানোয় ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় তিন নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগে অব্যাহতি ও বহিষ্কার শুরু হয়। এরপর কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ২৫৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কাউকে কাউকে বহিষ্কার এবং কাউকে কাউকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে পাবনায় ২৮ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ৩ সহসভাপতিসহ ১৫ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আর নওগাঁয় ১৪ নেতাকর্মীকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। এ ছাড়াও বরিশালের উজিরপুরে ৫ জন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের ১ জন ও গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ৬ জন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সাতকানিয়ায় আরও ২১ জন, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের ৩ জন, জামালপুরে ১৯ জন, নরসিংদীতে ৬ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৭ জন, ফেনীতে ২০ জন, রংপুরে ১৪ জন, সিলেটে ১২ জন, সুনামগঞ্জে ১৫ জন, লালমনিরহাটে ১২ জন, কক্সবাজারের পূর্ব বড় ভেওলায় ৩ জন, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় ১ জন ও কাশিয়ানীতে ৬ জন, সাতক্ষীরায় ৩ জন, পিরোজপুরের নাজিরপুরে ২ জন, ময়মনসিংহের নান্দাইলে ৩ জন, বরিশালে ৪ জন, পটুয়াখালীতে ৩ জন, ভোলার দৌলতখানে ৪ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জনকে ছাত্রলীগের পদ থেকে এখন পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ১ জনকে শোকজ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করায় শতাধিক নেতাকর্মীকে অব্যাহতি ও বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এখনও আমাদের হাতে সব খবর পৌঁছায়নি। এখনও কিছু কিছু জায়গায় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, যেসব নেতাকর্মী সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। আমরা এ ব্যাপারে সজাগ আছি। এ নিয়ে কাজ চলছে।