চুমু কাণ্ডে স্পেন ফুটবল প্রধানকে ‘পদত্যাগে’র আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

চুমু কাণ্ডে স্পেন ফুটবল প্রধানকে ‘পদত্যাগে’র আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবিঃ সংগৃহীত।

মেয়েদের বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে এক খেলোয়াড়কে ঠোঁটে চুমু দিয়ে বেশ বিপদে পড়েছেন রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের (আরএফইএফ) সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস। চুমু কাণ্ডে ক্ষমা চাওয়ার পরও নতুন করে চাপের মুখে ৪৫ বর্ষী সাবেক ফুটবলার। তাকে ফেডারেশন থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এমনকি এই বিষয়ে জরুরি সভাও বসবে শুক্রবার (২৫ আগস্ট)।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মেয়েদের বিশ্বকাপে গত রোববার ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়রা যখন দলের অন্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন, তখনই ঘটে চুমু কাণ্ড। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্ষমাও চান রুবিয়ালেস।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ মুখ খুললেন তিনদিন পেরিয়ে। সানচেজ বলেছেন, হেরমোসোকে চুমু দিয়ে রুবিয়ালেসের ক্ষমা চাওয়াটা ‘যথেষ্ট নয়’। স্পেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইয়োলান্দা ডিয়াজ এর আগে রুবিয়ালেসকে ‘পদত্যাগ’ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

৫১ বর্ষী সানচেজ বলেছেন, ‘আমাদের দেশে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা ও সম্মানের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আমরা যা দেখেছি তা অগ্রহণযোগ্য অঙ্গভঙ্গি। আমি মনে করি রুবিয়ালেস যে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন, তা যথেষ্ট নয়। আমি বলব রুবিয়ালেসের ব্যাপারে আরও পদক্ষেপ নেয়া উচিত। যদিও আরএফইএফ স্প্যানিশ সরকারের কোনো অংশ নয়।’

Reneta June

‘ফেডারেশনের সভাপতিকে অবশ্যই এমন একটি আচরণে আরও পরিষ্কার কোনো পদক্ষেপ নিতে হবে। তার ক্ষমা চাইতে হবে আরও স্পষ্ট এবং আরও বিশ্বাসযোগ্য উপায়ে।’ রুবিয়ালেসের জনসাধারণের কাছে চাওয়া ক্ষমাও প্রত্যাখ্যান করেছেন সানচেজ। বলেছেন হারমোসোকে ‘হয়রানি ও লাঞ্ছিত’ করা হয়েছে।

‘এই ঘটনায় একজন নারীকে হয়রানি ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। রুবিয়ালেস যে অজুহাত দিচ্ছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা চাই এখানে ক্রীড়া আইন প্রয়োগ করা হোক এবং স্পোর্টস ফেডারেশন প্রোটোকলকে আরও জোড়াল করা হোক। এই ব্যক্তির পদত্যাগ করা উচিত।’

পরে আরএফইএফ ঘোষণা করেছে যে তারা এই সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার একটি জরুরি সভা ডেকেছে।

এর আগে, ফেডারেশনের পাঠানো এক ভিডিও বিবৃতিতে স্পেন ফুটবলের সভাপতি ক্ষমা চেয়ে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই আমি ভুল ছিলাম। আমাকে স্বীকার করতে হবে। এমনটি করার সময় খারাপ মানসিকতা ছিল না। এ ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত। কারণ এটা আমাদের মেয়েদের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য। ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ আমরা জিতেছি। এটি উদযাপনকে প্রভাবিত করেছে।’

চুম্বন কাণ্ড নিয়ে হারমোসো লকাররুমে সতীর্থদের বলেছিলেন যে, তিনি বিষয়টি পছন্দ করেননি। ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এল মুন্ডো সংবাদপত্র এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের আউটলেটগুলোর পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে তার বক্তব্য প্রকাশ্যে আসে।

পরে ফেডারেশনের স্প্যানিশ বার্তা সংস্থা ইএফই-তে পাঠানো বিবৃতিতে হারমোসো বলেছিলেন, ‘আমি এটি উপভোগ করিনি। তবে এটি ছিল স্নেহ প্রদর্শনের জন্য স্বাভাবিক আলিঙ্গন। বিশ্বকাপের মতো এত বড় একটি অর্জনের আনন্দ থেকেই এমনটা হয়েছে।’