আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে পাকিস্তান
ফাইল ছবি
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানকে ক্লিন হোয়াইটওয়াশ করে আবার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে বাবর আজমের দল। এর ফলে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে টপকে গেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠল পাকিস্তান।
শনিবার (২৬ আগস্ট) কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ৫৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের অর্ধশতকে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান সংগ্রহ করে দলটি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানরা। শেষ পর্যন্ত ২০৯ রানেই অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। ৫৯ রানে ম্যাচ জিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে পাকিস্তান।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জেতার পর রেটিং পয়েন্টে (১১৮) অস্ট্রেলিয়াকে ছুঁয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। একক ভাবে শীর্ষ স্থান দখল করতে তৃতীয় ওয়ানডেতে জয়ের দরকার ছিল।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বোলিং-সহায়ক পিচে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান খুব বড় রান তুলতে পারেনি। তৃতীয় উইকেটে বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি ১৪৪ বলে ১১০ রানের পার্টনারশিপ করে। এটাই ছিল পাকিস্তানের বড় ইনিংস। বাবর ৮৬ বলে ৬০ রান করে রশিদ খানের বলে আউট হন। আর বাবর আউট হতেই পরপর উইকেট হারাতে শুরু করে পাকিস্তান। ২ উইকেটে ১৬২ থেকে ১৮৯ রানের মধ্যে মোট ৬ উইকেটে পড়ে যায়। রিজওয়ান ৭৯ বলে ৬৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
তবে সপ্তম উইকেটে সালমান এবং মোহাম্মদ নওয়াজের জুটি ৫৩ বলে যোগ করেন ৬১ রান। ২৫ বলে ৩০ করে নওয়াজ আউট হলেও, সালমান ৩১ বলে ৩৮ করে অপরাজিত থাকেন। আফগানিস্তানের গুলবাদিন নায়েব এবং ফরিদ আহমেদ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান শুরু থেকেই উইকেট হারায়। ফাহিম আশরাফ, শাদাব খানদের পেস-স্পিনে জেরবার হয়ে ৯৭ রানের মধ্যে সপ্তম উইকেট হারিয়ে বসে থাকে তারা। ওপেন করতে নেমে রিয়াজ হাসান ৬৬ বলে ৩৪ করে কিছুটা হাল ধরেছিলেন। এছাড়া পাঁচে নেমে শহিদুল্লাহ ৬৫ বলে ৩৭ করেন।
তবে নয় নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নেমে মুজিবের ৩৭ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস আফগানিস্তানকে লজ্জার হার থেকে রেহাই দেয়। শাহিন আফ্রিদির বলে হিট উইকেট হওয়ার আগে ৫টি করে চার এবং ছয় মেরে একা লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন মুজিব। তিনি ক্রিজে টিকে থাকলে হয়তো খেলার ফল অন্য রকম হতে পারত।
পাকিস্তানের হয়ে শাদাব খান নেন তিন উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, ফাহিম আশরফ এবং মোহাম্মদ নওয়াজ।
