ঢাবির রোকেয়া হলে জাতীয় শোক দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঢাবির রোকেয়া হলে জাতীয় শোক দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সংগৃহীত

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রবিবার এক আলোচনা ও স্মরণসভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি ব্যবস্থার বিভিন্ন আইনি দিক তুলে ধরেন।

এছাড়াও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মদদ দেওয়া ও পরবর্তীতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা মেজর জিয়ার ইতিহাসঘৃণ্য দিকটি তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জিনাত হুদা তার বক্তব্যে সর্বক্ষেত্রে নারীদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর যে অসামান্য কর্মতৎপরতা তা আলোকপাত করেছেন। তিনিও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করার কথা বলেছেন।

অধ্যাপক ড জিনাত হুদা তার বক্তব্যে আরও বলেন, বাংলাদেশ কোনও চাণক্য নীতিতে চলবে না। এদেশের জনগণই এদেশের ভাগ্যনির্মাতা এবং জনগণের রায় শেখ হাসিনার পক্ষে।

আরেক আলোচক বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি তার বক্তব্যে বলেন, কমিশন গঠন করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, যারা সাজাপ্রাপ্ত বিদেশে পালাতক আসামি তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাম্বাসেডর ওলিউর রহমান বলেন, মূলত বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত ও অভিযুক্ত তাদের কোথায় আছেন? অর্থাৎ কাদের আশ্রয়ে আছেন, তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশসমূহ রাজনৈতিক অ্যাসাইলামের নামে তারা মানবতাবিরোধীদের আশ্রয় দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিল। মেজর জিয়ার সরাসরি তত্বাবধান ও সহযোগিতায় তারা বিভিন্ন দেশে বহাল তবিয়তে থেকেছেন।

অ্যাম্বাসেডর ওলিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট দেশের প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করলেও আশানুরূপ সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের মাধ্যমে ওলিউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দেশে এনে বিচার করার ব্যাপারে কর্মতৎপরতা ও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে গবেষণা ও কাউন্সিল গঠন করার প্রস্তাব দেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড এম অহিদুজ্জামান অনতিবিলম্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেছেন।

এতে সঞ্চালনা করেন অনুষ্ঠানের আহ্বাবায়ক, রোকেয়া হলের হাউজটিউটর ও বিজনেস ফ্যাকাল্টির সহযোগী অধ্যাপক সামশাদ নওরীণ।