ইউজিসির মূল্যায়নে জাবির অবস্থান ৩১তম

ইউজিসির মূল্যায়নে জাবির অবস্থান ৩১তম

ফাইল ছবি

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, ই-গভর্ন্যান্স ও সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্ম পরিকল্পনায়সহ মোট ছয়টি বিষয়ে শতকরা ৬২ দশমিক ৯৪ স্কোর পেয়ে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩১তম অবস্থানে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিজস্ব ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসির আওতাধীন ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) মূল্যায়ন শতকরা হারে ঘোষণা করা হয়। এতে ৬২ দশমিক ৯৪ স্কোর পেয়ে জাবির অবস্থান ৩১তম।

শতভাগ স্কোর করে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫ দশমিক ৯৭, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৭ দশমিক ৯১, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫ দশমিক ৪৭, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ৯৪ দশমিক ৫৮, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৯২ দশমিক ৩৪, বিইউপি ৯৪ দশমিক ৯৫ স্কোর করেছে।

ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, ছয়টি বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে, কৌশলগত উদ্দেশে ৭০ নম্বর, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম পরিকল্পনায় ১০, ই-গভর্ন্যান্স বা উদ্ভাবন পরিকল্পনায় ১০, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনায় ৪, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনায় ৩ এবং তথ্য অধিকার কর্ম পরিকল্পনায় ৩ নম্বর রয়েছে।

এ ক্যাটাগরি ৬ টির মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ হতে পূর্ণমান ৭০ এর মধ্যে ৪৬ দশমিক ৮১, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম পরিকল্পনায় ১০ এর মধ্যে ৮ দশমিক ৫৫, ই-গভর্ন্যান্স/ উদ্ভাবন কর্ম পরিকল্পনায় ১০ এর মধ্যে ০৪, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা কর্মপরিকল্পনায় ৪ এর মধ্যে ১ দশমিক ২২, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্ম পরিকল্পনায় ৩ এর মধ্যে ১ দশমিক ৩৮ ও তথ্য অধিকার কর্ম পরিকল্পনায় ৩ এর মধ্যে ১ দশমিক ৮ সর্বমোট ৬২ দশমিক ৯৪ নাম্বার পেয়ে ৩১তম অবস্থানে রয়েছে।

এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৪ দশমিক ৭২ স্কোর পেয়ে ২৩তম ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। গতবারের তুলনায় এবার আরও ১১ ধাপ পিছিয়েছে জাবি।

র‍্যাংকিং পদ্ধতির বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, যারা গবেষণা ঠিকমতো করে, একাডেমিক সিলেবাস ও ল্যাবের মডারেশন সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে করে এবং বার্ষিক ট্রেনিং প্রোগ্রাম কিংবা জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের প্রশিক্ষণ দেয়, মূলত সেসব বিশ্ববিদ্যালয় এপিএ স্কোরে এগিয়ে থাকে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছর এ তথ্য ইউজিসিতে পাঠায়। এরপর সেগুলোকে আমরা কেবিনেট ডিভিশনে পাঠাই। একজন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বছরের শেষ দিকে প্রতিবেদন দাখিল করে থাকেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এপিএ স্কোর প্রকাশ করা হয়।