পাকিস্তানে জ্বালানির মূল্য বাড়ায় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

পাকিস্তানে জ্বালানির মূল্য বাড়ায় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

ফাইল ছবি

পাকিস্তানে নির্বাচনের আগে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার ব্যবসায়ী এ বিলের প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করেছেন।

শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শনিবার লাহোর, করাচি এবং পেশোয়ারের ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট পালন করেছেন। এ সময়ে তারা বিদ্যুতের বিল এবং করের অযৌক্তিক বৃদ্ধি নিয়ে প্লাকার্ড প্রদর্শন করেছেন।

লাহোরের নগর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজমল হাসিমি এএফপিকে বলেন, বিষয়টি এখন অসহনীয় হয়ে উঠেছে বলেই সবাই স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন। জনগণ দুমুঠো খাবারের জন্য হলেও এ বিল থেকে পরিত্রাণ চায়।

গত এক দশক ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। নিজেদের দেওলিয়া ঠেকাতে চলতি বছরে আন্তর্জাজিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নিয়েছে। তবে আইএমএফ এ ঋণের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমানোর শর্ত দিয়েছিল। ফলে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বেড়েছে।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ এবং টেন্ডিং ছড়িয়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিল নিয়ে জরুরি সভা ডাকেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জরুরি এ বৈঠকে ভোক্তাদের সর্বোচ্চ পরিত্রাণ দিতে আলোচনা করা হবে।

সংবাদমাধ্যম জানায়, পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ বিল ও অতিরিক্ত করারোপের বিষয়ে তুমুল প্রতিবাদ শুরু করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভের মুখে জরুরি বৈঠকে বসবেন দেশটির কর্তাব্যক্তিরা।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের তথ্যমতে, আন্দোলনের শুরু থেকেই এ দাবি সমর্থন করে আসছে জামায়াত-ই-ইসলামী (জেআই)। তারা ক্রমাগত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো ও করারোপ বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে পাকিস্তানের দলের ব্যবসায়ী নেতা ও প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, আমরা বিদ্যুৎ বিলের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত করের এ বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করছি। জামায়াত জনগণের এ দাবির পাশে রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী করাচির আমির হাফিজ নাইমুর রহমান এক সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেন, সরকার জনগণের ওপর করের বোঝা বাড়াতে থাকলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে।