আসাদ হত্যাকাণ্ডে পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন

আসাদ হত্যাকাণ্ডে পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন

সংগৃহিত ছবি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুল আলম মনিকে যড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেড়ে মাহবুবুল আলম মনিকে প্রতিপক্ষ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ ও তার গ্রুপের কয়েকজন মিলে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসিয়েছে।

পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ বিল্লাল হোসেন সরকার সুবিচার ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।

মেয়র মো. বিল্লাল হোসেন সরকার বলেন, ২৮ আগস্ট ২০২৩ রাতে আওয়ামী পরিবারের সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় মাহবুবুল আলম মনি ও কামরুজ্জামান, শুভ চন্দ্র দে এবং মো. সিয়াম নামে চারজনসহ কয়েকজনের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে। অথচ তারা সেদিন ময়মনসিংহের নেক্সাস হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন

গত ২৫ সে আগস্ট ২০২৩ থেকে ২৯-০৮-২০২৩ পর্যন্ত আমার বড় মেয়ে মোছাঃ বিলকিস আক্তার হার্টের চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ নেক্সাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

সেখানে ৫ দিন চিকিৎসা শেষে ২৯ তারিখ দুপুর আড়াইটায় ছাড়পত্র পান এবং ঐ দিন বিকেলে বাসায় আসেন। নির্বাচন আসলেই তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে, সেজন্য মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে প্রতিপক্ষরা।

তিনি আরও বলেন, আমি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান স্যারের জানাজা নামাজ শেষ করে আমার মেয়ে বিলকিস আক্তারকে ৭:১৩:৫৭ সময় নেক্সাস হাসপাতালে দেখতে যাই। আমি অবস্থান করে তাদের চারজনকে হাসপাতালে উপস্থিত পাই। আসাদ হত্যা মামলায় কিভাবে তাদের আসামী করা হলো আমার বুজে আসে না। তারা ঘটনার সময় নেক্সাস হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন তা সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে প্রমান হবে। নিরীহ, নির্দোষ ব্যক্তিদের উক্ত মামলা থেকে অভ্যাহতি দিয়ে প্রকৃত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ প্রসঙ্গে মুক্তাগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি এখন কিছু বলতে পারব না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ইদু, সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মফিজ উদ্দিন মন্ডল প্রমুখ।