বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার-২৫ অনুষ্ঠিত

বিআইসিএম রিসার্চ সেমিনার-২৫ অনুষ্ঠিত

সংগৃহীত

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এর রিসার্চ সেমিনার-২৫ মঙ্গলবার ইন্সটিটিউটের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে “Pay Scale Reform and Dynamics of Inflationary Spirals in Bangladesh: A Regression-Discontinuity Approach to the Long-Run Consequences of NPS-2015” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইসিএম এর সহকারী অধ্যাপক জনাব সাফায়েদুজ্জামান খান।

ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন সিদ্দিকী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব ড. নাহিদ হোসেন ও বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর রিসার্চ ফেলো ড. বদরুন নেসা আহমেদ। বিআইসিএম এর প্রভাষক এস এম কালবীন ছালিমা সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন।

আলোচ্য গবেষণায় দেখা যায় যে, সরকারি কর্মচারিদের ২০১৫ সালের বেতন কাঠামো পুনর্গঠনের পর সংশ্লিষ্টদের আয় বৃদ্ধি পেলেও মূল্যস্ফীতি তার চেয়েও বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে বাংলাদেশের জনগণের যে পরিমাণ সঞ্চয় ও ভোগ প্রবণতা ছিল অধিক হারে মূল্যস্ফীতি বর্ধণের ফলে এই দুটি প্রবণতাই হ্রাস পেয়েছে। এক্ষেত্রে, কমপেনসেশন ম্যানেজমেন্টে উদ্ভাবনী কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের সঞ্চয় প্রবণতা অধিক হারে বৃদ্ধি করা সম্ভব। গবেষণায় আরও প্রতীয়মান হয় যে, বেতন কাঠামো পুনর্গঠনের চেয়ে ক্রমান্বয়ে মাসভিত্তিক বিশেষ প্রণোদনা প্রদান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এবং দীর্ঘ মেয়াদী সঞ্চয় প্রবণতা ত্বরান্বিত করে থাকে।     

আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন সিদ্দিকী বলেন, বেতন কাঠামো পুনর্গঠনের পর তার প্রভাব সমাজের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত তিনটি গ্রুপের ওপর আলাদা আলাদা প্রভাব ফেলবে। এক্ষেত্রে, আয়ের বিভাজন অনুযায়ী মূলস্ফীতির প্রভাব কীভাবে নির্ধারিত হবে সে বিষয়ে গবেষণার ওপর জোর দেন তিনি।  

ড. বদরুন নেসা আহমেদ বলেন, গবেষণাটি যেহেতু বাংলাদেশের চলমান বাস্তবতার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত সেহেতু গবেষণার আলোকে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সামাজিক-রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার বলেন, এই মেথডলজিটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নতুন একটি দিক উন্মোচন করেছে। সমসাময়িক গবেষকদের বিষয়টি নিয়ে আরো বেশি গবেষণায় উৎসাহিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

উপস্থিত অতিথিদের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বিআইসিএম এর পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ জনাব নাজমুছ সালেহীন সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সেমিনারে বিআইসিএম এর অনুষদ সদস্যবৃন্দ, কর্মকর্তা এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।