টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত

টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত

ছবিঃ সংগৃহীত।

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার নিন্মাঞ্চল ও সদর উপজেলার বিস্তৃর্ণ জনপদ পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নিস্কাশন না হওয়ায় মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। দূর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খনন হলেও নদীর জায়গা দখলদারিত্বের কারনে পানি নিস্কাষনের দার বন্ধ হয়ে আছে। ফলে এখনো পানিতে তলিয়ে আছে রাস্তা-ঘাট,বসতবাড়ী ও মৎস্য খামার। জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত জলাবদ্বতা থেকে মুক্তি চান এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, গত ৭ থেকে ৮ দিনের বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার কামাননগর, মধুমল্লারডাঙ্গী, কাঠিয়া মাঠ পাড়া, পুরাতন সাতক্ষীরা, বদ্দিপুর কলনি ও সদর উপজেলার ধুলিয়ার, ব্রন্মরাজপুর, গবিন্দকাটিসহ বিস্তৃর্ণ জনপদ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে আছে এলাকার রাস্তা-ঘাট, বসতবাড়ী, বাড়ীর আঙ্গিনা, ফসলি জমি ও মৎস্য ঘের। চরম ক্ষতি ও দূর্ভোগের মূখে এলাকাবাসী। জলাবদ্বতা ও পানি নিরষনে নেই কোন পরিকল্পিত ড্রেন ব্যবস্থা। বেতনা, মরিচ্চাপ ও কপোতাক্ষ নদের দুই ধারে অবৈধ বসতি ও দখলদারিত্বের কারনে পানি নিস্কাষন হতে পারছে না। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন স্লুইচ গেট গুলোর অকেজ অবস্থা। পলি জমে বন্ধ হয়ে আছে পানির প্রবাহ। যে কারনে একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্বতা।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু জানান, সাতক্ষীরা পৌর সভার ৪টি ওয়ার্ডের নিন্মাঞ্চল ও সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর, ধুলিহরসহ ৪টি ইউনিয়ন গত এক সপ্তাহ ভারী বর্ষনে জলাবদ্বতার স্বীর হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। ঠিকমত পানি নিস্কাষন হতে না পেরে জনদূর্ভোগ বেড়েছে। জলাবদ্বতা নিরষনে পানি উন্নয়ন বোর্ড খাল ও নদ-নদী খনন কাজ চলমান আছে। আশাকরছি নদী খনন কাজ সম্পন্ন হলে এলাকা থেকে পাি নেমে যাবে। তা না হলে প্রতি বছরের ন্যায় স্যালো ম্যাশিন দিয়ে পানি সেচে বেতনা নদীতে ফেলতে হবে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশিকুর রহমান জানান, সাতক্ষীরায় জলাবদ্বতা নিরষনে নদ-নদী ও খাল খননের কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ হলে জলাবদ্বতার স্থায়ী সমাধান হবে বলে জানান তিনি।