চট্টগ্রামে তৈরি পোশাকের আড়ালে খাদ্য পণ্য পাচারের চেষ্টা!

চট্টগ্রামে তৈরি পোশাকের আড়ালে খাদ্য পণ্য পাচারের চেষ্টা!

সংগৃহিত ছবি।

চট্টগ্রামে তৈরি পোশাক রপ্তানির চালানে চিনিগুঁড়া চাল ও বিরিয়ানির মসলা ও সেমাই পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) পতেঙ্গার ওশেন কনটেইনার ডিপোতে রপ্তানি চালান শুল্কায়নের সময় ঘোষণা বহির্ভূত এসব পণ্য পান কাস্টমস কর্মকর্তারা।

শনিবার ৯ (সেপ্টেম্বর) ইনভেন্ট্রি প্রক্রিয়া শেষে পুরো চালানে ১০ কেজি সুগন্ধি চাল, সাত প্যাকেটে এক হাজার ৪০০ গ্রাম সেমাই, ছয় প্যাকেটে ২৪০ গ্রাম গুঁড়া মসলা এবং ৩০০ গ্রাম পাঁচফোড়ন পাওয়া যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে মিথ্যা ঘোষণায় মুদ্রা পাচারের বিষয়ে সন্দেহ করা হলেও পরে বিষয়টি নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।

কাস্টমস কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল, বায়ার (আমদানিকারক) কিংবা শিপিং এজেন্টের কারও আবদার রক্ষা করতে সুগন্ধি চাল ও বিরিয়ানির মসলা পাঠানো হচ্ছিল। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জাহানারা ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি পোশাকের চালানটি মাগাদাস্কার পাঠাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে চালানটিতে দুই হাজার ১০০ পিস টি-শার্ট এবং এক হাজার ১০৩ পিস প্যান্ট ঘোষণা দিয়ে সাত আইটেমের তিন হাজার ৮৯৩ পিস তৈরি পোশাক পাঠানো হচ্ছিল। এতে ঘোষণা বহির্ভূতভাবে ৬৯০পিস পোশাকের পাশাপাশি খাদ্য সামগ্রীগুলো পাওয়া গেছে বলে জানান কাস্টমস কর্মকর্তারা।

ওসিএল ডিপোতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নুরুল বশির জাগো নিউজকে বলেন, তৈরি পোশাকের একটি চালানে চালের অস্থিত্ব পাওয়ায় পুরো চালানটি ইনভেন্ট্রি করা হয়। এতে ১০ কেজি চিনিগুঁড়া সুগন্ধি চাল ও ২৪০ গ্রাম গুঁড়া মসলা পাওয়া গেছে। চালানটি মাগাদাস্কার পাঠানো হচ্ছিল। ঘটনাটি শুল্ক ফাঁকি কিংবা মুদ্রাপাচারের ঘটনা মনে হয়নি বলে জানান তিনি।