ভালো ফ্যামিলির মেয়েরা ডিজে শিখতে আসছে : ডিজে সুমি

ভালো ফ্যামিলির মেয়েরা ডিজে শিখতে আসছে : ডিজে সুমি

সংগৃহীত

দেশে বেড়েই চলেছে নারী ডিজের সংখ্যা। দেশ ছাপিয়ে বিদেশী শোতেও ডাক পাচ্ছে মেয়ে ডিজেরা। এমনকি মেয়েদের জন্য দুর্দান্ত একটি পেশা হতে পারে ডিজেয়িং। কালবেলার সঙ্গে আলাপে এসব কথাই বলছিলেন ডিজে সুলতানা রাজিয়া সুমি।

এই অঙ্গনে মেয়েদের আগমনকে ‘প্লাস পয়েন্ট’ হিসেবে দেখছেন সুমি। বললেন, ‘নতুন মেয়েরা আসছে। তাদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা যারা সিনিয়র আছি, নতুন যারা আছে তাদের হেল্প করছি, ভালো ভালো ফ্যামিলি থেকে মেয়েরা আসছে। তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে, যেটা আমাদের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। আমরা যখন শুরু করেছিলাম তখন ফিমেইল ডিজে অ্যাভেইলঅ্যাবল ছিল না। অল্প কয়েকজন ছিল।’

মেয়েদের পাশাপাশি দেশে রয়েছেন বেশ কজন পুরুষ ডিজে। ফলে এই সেকটরেও কাজ পাওয়ার বিষয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে। তবে সুমির ভাষ্য, নারী ডিজের চাহিদাই বেশি। বললেন, ‘থার্টি ফাস্ট ছাড়াও ওয়াটার পার্কগুলোতে এখন ফিমেইল ডিজেদের ডিমান্ড বেশি থাকে। করপোরেট প্রোগ্রামগুলোতেও। বিদেশেও আমাদের মেয়েরা শো পাচ্ছে। বিশেষ করে ভারত থেকে অনেক অফার আসে।’ভালো ফ্যামিলির মেয়েরা ডিজে শিখতে আসছে : ডিজে সুমি

এটিকে পেশা হিসেবে নিয়ে টিকে থাকা আদৌ সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে খোদ ডিজেদের মধ্যেই। তবে ডিজে সুমি আশ্বস্ত করলেন নারীদের। বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ডিজে ক্লাবগুলো বন্ধ, খোলার পারমিশন মিলছে না। তাই ক্লাবের বাইরের প্রোগ্রাম বেশি হচ্ছে। ফিমেইল ডিজেদের জন্য এটা পারফেক্ট একটা প্রফেশন। পড়াশোনার পাশাপাশি এটা কনটিনিউ করা যায়, সংসারও সামলানো যায়।’

অন্যদিকে সম্প্রতি তরুণদের মাতিয়ে রেখেছে র‌্যাপ মিউজিক। সেটি ডিজেয়িং-এর জায়গা দখল করছে না তো? উত্তরে সুমি বলেন, ‘না, র‌্যাপ সংগীত ডিজের ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে না। তবে র‌্যাপ সংগীতে উল্টাপাল্টা লিরিক থাকলে ক্রাউড একটু বিরক্ত হয়। কিন্তু ডিজের ওপর এটার ইফেক্ট পড়ে না।’

রাতভর ডিজে পার্টি চালিয়ে যাওয়া মেয়েদের পক্ষে কিছুটা কঠিন বটে। অবশ্য নারীদের হোল নাইট ডিজে পার্টি এখন বেশ কমে এসেছে। সুমির ভাষ্য, ‘মেয়েদের মধ্যে অনেকে এখন লেট নাইট পার্টি করেন না। এক যুগ আগে হোল নাইট প্রোগ্রাম করতে বলত অনেকে। আমরা সিনিয়ররা এই জিনিসটা কমিয়ে এনেছি।’

নারী ডিজের পোশাক, তাদের স্টাইল ও কাজকে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই ভালো চোখে দেখেন না। এ বিষয়ে সুমি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এমনটা মনে করবে—সেটাই স্বাভাবিক। ডিজের চিন্তা, কথা বলার ধরন, পারসোনালিটি, সবকিছুই আলাদা। তাই সাধারণ মানুষ আমাদের অন্যরকম ভাবে।

ডিজে পার্টি চালাতে কি ওয়েস্টার্ন ড্রেসই পরতেই হয়? জবাবে তিনি বলেন, ‘না না, ডিজেদের কাছে পোশাকের ব্যাপারে এ ধরনের কোনো রিকয়ারমেন্ট আসে না। আমি শাড়ি পরে পারফর্ম করেছি। সেটা অনেক ভিউ হয়েছে। বাংলাদেশে শাড়ি পরে সর্বপ্রথম আমিই বাজাই। ডিজে পার্টিতে এলেই যে একদম ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরে আসতে হবে বিষয়টি এরকম নয়।’