বাবা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা; অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার

বাবা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা; অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার

প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বাবা ও মেয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি জাকির হোসেন সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে কমলনগর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, নিহত বাদশা মিয়ার ছেলে বাদী হয়ে সুমনের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলার আগে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় পশ্চিম চর কলাকোপা গ্রামে ৫০ বছর বয়সী বাদশা মিয়া ও তার মেয়ে রাশেদা আক্তারকে (২২) কুপিয়ে হত্যা এবং বাদশা মিয়ার স্ত্রী আঙ্কুরি বেগমকে রক্তাক্ত জখমের ঘটনা ঘটে। নিহত বাদশা মিয়া চরকলা কোপা গ্রামের মৃত তোবারক আলীর ছেলে। অভিযুক্ত সুমন পেশায় ইট ভাটার শ্রমিক ও সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়,  লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা সুমনের সঙ্গে প্রায় ৫বছর আগে রাশেদার বিয়ে হয়। ওই সংসারে একটি পুত্র সন্তানও জন্ম নে। বিয়ের পর থেকে সুমন রাশেদাকে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করতো। হঠাৎ নির্যাতনের মাত্রা বেশী হওয়ায় বিষয়টি জানতে পেরে ৪ মাস আগে কৌশলে রাশেদাকে তার বাবা-মা তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে সুমনের সঙ্গে রাশেদার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে দুই মাস আগে রাশেদাকে ফের অন্যত্র বিয়ে দেন পরিবার। বুধবার সন্ধ্যায় সুমন তার স্ত্রীকে নিতে আসলে বিবাহবিচ্ছেদ ও অন্যত্র বিয়ে খবর জানতে পেরে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। এনিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার সাবেক স্ত্রী রাশেদা, শ্বশুর বাদশা ও শাশুড়ি আঙ্কুরিকে কুপিয়ে সুমন পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই রাশেদা ও তার বাবা বাদশা মিয়া মারা যান। মুমূর্ষ অবস্থায় আঙ্কুরিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।