লিবিয়ার বন্যায় রাজবাড়ীর দুই যুবকের মৃত্যু

লিবিয়ার বন্যায় রাজবাড়ীর দুই যুবকের মৃত্যু

সংগৃহীত

উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় রাজবাড়ী জেলার দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজবাড়ী জেলার নিহতরা হলেন পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের ধোপাকেল্লা গ্রামের দুলাল খানের ছেলে সুজন খান (২৩) ও একই উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের আরশেদ মণ্ডলের ছেলে শাহিন রেজা (৪০)।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ জানান, বুধবার রাতে তারা বিষয়টি জানার পর মৃতদের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চালান। পরে রাত ১০টার দিকে মৃত দুজনের পরিচয় জানতে পারেন।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে দারনা শহরে বসবাসরত ৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে ৪ জনের প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন রাজবাড়ি জেলার শাহীন ও সুজন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার মামুন ও শিহাব। তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত অবশিষ্ট দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া দারনা শহরে বসবাসরত আরও কিছুসংখ্যক বাংলাদেশি নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শাহিনের বাবা আরশেদ মন্ডল মোবাইলে বলেন, প্রায় ১০ মাস আগে অনেক কষ্ট করে শাহিনকে লিবিয়াতে পাঠাই। সবকিছু ভালোই চলছিল। হঠাৎ ঘুর্ণিঝড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে আমার। লিবিয়ায় বন্যায় আমার ছেলে মারা গেছে। তাকে লিবিয়াতেই দাফন করা হয়েছে।

আর সুজনের বড় ভাই জুবায়ের খান বলেন, আমরা চার ভাইবোন। সুজন আমার ছোট। ২০১৯ সালে সুজন লিবিয়াতে যায়। অনেক ছোট বয়স থেকে ও প্রবাসে থাকে। সংসারে ভরণপোষণও সে চালাত। গতকাল হঠাৎ খবর পেলাম সুজন লিবিয়াতে ঘূর্ণিঝড়ে মারা গেছে। তার মরদেহ কী অবস্থায় আছে জানি না। তবে আমার মামাতো ভাই লিবিয়াতে থাকে। তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি সুজনের মরদেহ দাফন হয়ে গেছে। আবার অন্য এক মাধ্যমে খবর পেয়েছি মরদেহ এখনো দাফন করা হয়নি। জানি না তার মরদেহ কোন অবস্থায় আছে। তবে সুজনের লাশ দাফন না হয়ে থাকলে তার দেশে আনতে প্রশাসনের সহযোগিতা চান সুজনের পরিবার।

যশাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হোসেন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার ইউনিয়নে সুজন খান নামের এক যুবক লিবিয়াতে মারা গেছেন। আমি তার বাড়িতে গিয়েছিলাম।

হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন খান বলেন, আমার ইউনিয়নের শাহিন নামের এক যুবক লিবিয়াতে মারা গেছেন। আমি তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি।