গুগলের চুক্তিতে মার্কিন সরকারের নজরদারি

গুগলের চুক্তিতে মার্কিন সরকারের নজরদারি

সংগৃহীত

সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে বিশ্বজুড়ে একচেটিয়া আধিপত্য ধরে রাখতে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করে গুগল। মার্কিন সরকারের বরাতে এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) অ্যান্টিট্রাস্ট ট্রায়াল চলাকালে মার্কিন বিচার বিভাগের আইনজীবীরা বলেছেন,  এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট জায়ান্টটি তাদের একচেটিয়া আধিপত্যের অপব্যবহার করেছে।

প্রযুক্তি জগতে অর্থপূর্ণ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে চায় মার্কিন সরকার। তাই অ্যাপল এবং অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে থাকা গুগলের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ভাঙতে প্রতিষ্ঠানটিকে বাধ্য করতে চায় তারা। কেননা, সেই চুক্তির আওতায় ওই সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মোবাইল ফোন এবং ওয়েব ব্লাউজারে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগল ব্যবহার করা হয়।

গুগল বাজারে প্রতিযোগিতা কমাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে করা তাদের চুক্তিগুলোকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন সরকারি আইনজীবী কেনেথ ডিন্টজার। তিনি বলেন, এই মামলা হচ্ছে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগল কখনও কোনো অর্থপূর্ণ প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হবে কি না, সেটি নিয়ে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গুগল যে ১০ বিলিয়ন ডলার বাজারে আধিপত্য ধরে রাখতে ব্যবহার করছে, সেটি কোম্পানিটির গত বছরের মোট আয়ের ৬ শতাংশ।

কেনেথ ডিন্টজার বলেছেন, আইফানের ওয়েব ব্রাউজারের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন থাকার জন্য কেবল অ্যাপলকেই ২০২০ সালে ৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে গুগল। এমনকি সার্চ ইঞ্জিনটি বছরে অ্যাপলকে ২০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে বলে অনুমান করছেন অনেক বিশ্লেষক।

এদিকে গুগল বলছে, জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজারগুলোয় প্লেসমেন্টের জন্য অর্থ দিয়ে নয়; বরং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার কারণে তারা বাজারের বড় একটি অংশজুড়ে অবস্থান করছে।

কোম্পানির প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাইসহ গুগলের এক্সিকিউটিভরা দুই মাসের বিচারে সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া অ্যাপল এবং মাইক্রোসফ্টের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের এতে সাক্ষ্য দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আগামী বছরের শুরুর দিকে এ মামলার বিচারকের রায় আসতে পারে বলে জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।