ওয়াগনারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করল যুক্তরাজ্য

ওয়াগনারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করল যুক্তরাজ্য

ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার আধাসামরিক ওয়াগনার গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে। গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পর এ ঘোষণা এলো। শুক্রবার নিষেধাজ্ঞার আদেশটির অনুমোদন দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার পর ওয়াগনার এখন যুক্তরাজ্যে হামাস, বোকো হারামসহ অন্যান্য ৭৮টি নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় যুক্ত হবে।  এতে তাদের সহায়তার জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে।

গত সপ্তাহে আদেশের প্রস্তাব করে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান ওয়াগনারকে ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ওয়াগনারের অব্যাহত অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড ক্রেমলিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্যই অব্যাহত রয়েছে। তারা স্পষ্টতই সন্ত্রাসী এবং এই নিষেধাজ্ঞার আদেশটি যুক্তরাজ্যের আইনে তা পরিষ্কার করবে।

আদেশে বলা হয়েছে, ওয়াগনারকে সমর্থন করা একটি ফৌজদারি অপরাধ। যার মধ্যে রয়েছে গোষ্ঠীটির কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সভার আয়োজন, লক্ষ্যগুলোর প্রতি সমর্থন প্রকাশ এবং ওয়াগনারের পতাকা বা লোগো প্রদর্শন করা।

২০১৪ সালে ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মাধ্যমে ওয়াগনার আধাসামরিক গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর দ্রুত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অধীনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একটি প্রধান হাতিয়ার হয়ে ওঠে। তারা সিরিয়া, লিবিয়া, মালি ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের মতো দেশে পুতিনের মিত্রদের সমর্থন করতে সহায়তা করে।

ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে ওয়াগনার যোদ্ধারা দেশটির পূর্বাঞ্চলে সংঘাতের পুরোভাগে রয়েছে। সোলেদার ও বাখমুতের মতো শহরগুলোতে রাশিয়ার কিছু বিরল বিজয় তাদের মাধ্যমে এসেছে। কিন্তু ওয়াগনারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিল চলতি বছরের শুরুতে, যখন প্রিগোজিন রুশ সামরিক নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যর্থ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে ২৩ আগস্ট অন্য ওয়াগনার ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে একটি সন্দেহজনক বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। তাকে সেন্ট পিটার্সবার্গে সমাহিত করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ এমপিরা কয়েক মাস ধরে ওয়াগনারকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তবে নতুন এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন হতে অনেক সময় লাগতে পারে।

উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞরা গত মাসে বলেছিলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী বেসরকারি সামরিক কম্পানিগুলো প্রিগোজিনের প্রভাবশালী নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে ওয়াগনারকে দখল করতে চায়। এ ছাড়া রাশিয়া কয়েক ডজন নতুন বেসরকারি সামরিক কম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে বলে কথিত আছে। সূত্র : বিবিসি