সরকার জুলুম-নির্যাতনের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে : অধ্যাপক মুজিবুর

সরকার জুলুম-নির্যাতনের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে : অধ্যাপক মুজিবুর

ফাইল ছবি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার জুলুম-নির্যাতনের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর থানা শূরা সদস্য শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার বলতে বাংলাদেশে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। সরকারের নির্লজ্জ ভূমিকায় সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়েছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আজ ধংস করা হচ্ছে। ইসলামী মূল্যবোধকে সম্পূর্ণ নষ্ট করে বিজাতীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি সুকৌশলে কোমলমতি শিক্ষার্থীর মাথায় প্রবেশ করানো হচ্ছে। সরকারের অপকর্মের ব্যাপারে কথা বললেই তাদের কণ্ঠ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে জামায়াতে ইসলামীসহ সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে সরকার।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের দাবি হলো নির্যাতিত মজলুম মানুষের মুক্তির জন্য সবাইকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হওয়া।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে না পারে সে জন্যই কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা একক সিদ্ধান্তে বাতিল করেছে আওয়ামী সরকার। আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়, কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ কোনোভাবেই অংশ নেবে না।

তিনি জামায়াতে ইসলামীর সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সাহসীকতার সাথে মাঠে ময়দানে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

ভারপ্রাপ্ত আমিরে জামায়াত বলেন, জনগণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এ জুলুমবাজ সরকারের পতনের মধ্যে দিয়েই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশা আল্লাহ।

জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. কেরামত আলীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডল এবং সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসাইনের পরিচালনায় থানা শূরা শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম ও নির্বাহী সদস্য এবং রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মো: শাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর সাবেক আমির প্রফেসর ড. মো: আবুল হাশেম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর দ্বায়িত্বশীলদের ত্যাগ ও কুরবানির ক্ষেত্রে নবী-রাসুল ও সাহাবীকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আমাদের যারা দায়িত্বশীল ছিলেন তারা আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে ত্যাগের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমরা তাদের উত্তরসূরি হিসেবে শহীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সত্যিকার ভূমিকা রাখতে হবে।

শাহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে সে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে ইনশা আল্লাহ। তিনি নেতাকর্মীদের আগামী আন্দোলন-সংগ্রামের সকল কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালাই হলেন আমাদের উত্তম সাহায্যকারী। আমরা তার উপরেই কেবলমাত্র ভরসা করব।