বৃদ্ধাশ্রমে মারা গেলেন কিংবদন্তি নির্মাতা

বৃদ্ধাশ্রমে মারা গেলেন কিংবদন্তি নির্মাতা

সংগৃহীত

ইন্ডাস্ট্রির অভিনয়শিল্পী কিংবা নির্মাতা, একের পর এক কারও মৃত্যুর খবর আসছেই। একজনের মৃত্যুর রেশ কাটিয়ে উঠার আগেই ফের মৃত্যুর খবর। এবার বৃদ্ধাশ্রমে মারা গেলেন মালয়ালম চলচ্চিত্র নির্মাতা কেজি জর্জ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এর্নাকুলামের কাক্কানাদে একটি বৃদ্ধাশ্রমে মৃত্যু হয়েছে বরেণ্য এই পরিচালকের। সংবাদমাধ্যমের খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা স্বাস্থ্য সমস্যায়ও ভুগছিলেন কেজি জর্জ।

এ নির্মাতাকে মালয়ালম সিনেমার কিংবদন্তি বলা হয়। ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রশংসিত পরিচালকের মধ্যেও একজন তিনি। বলা হয়, তার নির্মিত সিনেমাগুলো তার পরবর্তী নির্মাতাদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। এছাড়া তাকে মালয়ালম সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পাথব্রেকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আর এমন পরিচালকের মৃত্যু ইন্ডাস্ট্রি এবং গ্রাহকের জন্য অনেক বড় ক্ষতি।

কেজি জর্জ ইন্ডাস্ট্রিতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। ১৯৮০-এর দশকে ভারতান ও পদ্মরাজনের মতো অনুকরণীয় নির্মাতাদের সঙ্গে কেজি জর্জ মালয়ালম সিনেমা নির্মাণের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে ‘স্বপ্নদানম’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। এই সিনেমার এতটাই প্রভাব ছিল যে, কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং মালয়ালমের শ্রেষ্ঠ ফিচার চলচ্চিত্রে জাতীয় পুরস্কার লাভ করে ‘স্বপ্নদানম’। এছাড়া বক্স অফিসেও হিট করেছিল সিনেমাটি।

কেজি জর্জ সবসময় জনপ্রিয় জোয়ারের বিপরীতে সিনেমা নির্মাণ করেছেন। এভাবেই সত্যিকারের পথ প্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে মিউজিক্যাল-রোমন্টিক নাটক উল্কাদল, রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র পঞ্চবাদী পালাম এবং মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার ইরাকার। এছাড়া উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে মেলা, ইয়াভানিকা, লেখায়ুদে, মারানাম ওরু ফ্ল্যাশব্যাক, অ্যাডামিন্টে ভায়ারিয়েলু ও ম্যাটোরাল।

এ নির্মাতার শেষ সিনেমা ছিল ১৯৯৮ সালের পিরিয়ড ড্রামা এলাভামকোডু দেশম। এতে অভিনয় করেছিলেন রাজীব, খুশবু, থিলাকান এবং বাবু নাম্বুথিরির মতো অভিনয়শিল্পীরা। আর কেজি জর্জের অধিকাংশ সিনেমায় মামুটিকে দেখা গেছে।