জামাইয়ের আনা জুস খেয়ে শ্বশুরবাড়ির ৪ সদস্য অচেতন!

জামাইয়ের আনা জুস খেয়ে শ্বশুরবাড়ির ৪ সদস্য অচেতন!

ছবিঃ সংগৃহীত।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে দীর্ঘদিন পর বেড়াতে আসা জামাই হৃদয় মিয়ার (৩০) আনা জুস রাতে খেয়ে শ্বশুরবাড়ির ৪ জন অচেতন হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিবেশীরা ঘটনার শিকার পরিবারের ৪ সদস্যকে ডাকাডাকি করেন। এতে তাদের ঘুম ভাঙেনি।

এদিকে ঘরের দরজা খোলা রেখে জামাই লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে নান্দাইল উপজেলার হালিউড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সোমবার রাতে ওই গ্রামের আমির উদ্দিনের পরিবারে জামাতা হৃদয় মিয়ার পরিবেশন করা জুস খান তারা। 

স্থানীয় প্রতিবেশী ও ঘটনার শিকার পরিবারের সদস্যরা জানান, নান্দাইল উপজেলার হালিউড়া গ্রামের আমির উদ্দিনের বড় মেয়েকে বিয়ে দেন জামালপুর জেলার হৃদয় মিয়ার কাছে। বর্তমানে স্বামী হৃদয় মিয়া ও তার স্ত্রী মিলে ঢাকায় একটি কারখানায় চাকরি করেন এবং সেখানেই স্বামী-স্ত্রী মিলে বসবাস করেন। আর গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে আমির উদ্দিন বসবাস করেন। কোনো ধরনের আয়-রোজগার না থাকায় বড় মেয়ের পাঠানো টাকা দিয়েই সংসার চলে তার।

দীর্ঘদিন পর সোমবার দিনগত রাতে ওই গ্রামের আমির উদ্দিনের পরিবারের জামাতা হৃদয় মিয়া বেড়াতে আসার সময় সঙ্গে নিয়ে আসেন মিষ্টি ছাড়াও ফলের জুসের বোতল। পরে রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর জুস খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন শ্বশুর-শাশুড়ি ছাড়াও শ্যালক-শ্যালিকা। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও কেউ ঘুম থেকে না ওঠায় প্রতিবেশীরা খোঁজ নিয়ে দেখেন, ঘরের দরজা খোলা। পরে ডাকাডাকি করে ওই পরিবারের সব অজ্ঞান সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছুটা সুস্থ হলে পুরো ঘটনা জানতে পারেন প্রতিবেশীরা।

আমির উদ্দিনের স্ত্রী হাজেরা খাতুন জানান, তার জামাতার পরিবেশন করা জুস খেয়ে তাদের এ অবস্থা হয়েছে।

এদিকে প্রতিবেশীরা জানান, জামাইয়ের আনা জুস খেয়ে এক পরিবারের চারজন অচেতন হয়ে যাওয়া ও জামাই কাউকে না বলে চলে যাওয়ার ঘটনাটি খুবই রহস্যজনক।

এ ব্যাপারে জামাই হৃদয় মিয়ার মোবাইল নাম্বারে কল করা হলে তিনি বলেন, আমার নেওয়া জুস তো আমিও খাইছি। আমার তো কিছু হইল না। তাছাড়া আমার জরুরি কাজ থাকায় আমি চলে এসেছি। অন্য কেউ ঘটনা ঘটাতে পারে।