বক্সিংয়ের আশা জিনাতের বিদায়

বক্সিংয়ের আশা জিনাতের বিদায়

ফাইল ছবি

হাংজু জিমনিশিয়ামে স্থানীয় সময় দুপুর দুইটায় ছিল বাংলাদেশি বক্সার জিনাত ফেরদৌসের খেলা। আমেরিকান প্রবাসী এই বক্সারকে নিয়ে ছিল আশার আলো। তাই বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বক্সিং ফাইট দেখতে নির্ধারিত সময়ের আগেভাগেই এসেছিলেন। শুধু হাংজুতে নয়, দেশে থাকা ক্রীড়াঙ্গনের ব্যক্তিবর্গও জিনাতের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। সবার আগ্রহ পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন জিনাত। মঙ্গোলিয়ান বক্সার ইয়ুসগেনের সঙ্গে পরাজিত হয়ে আজই গেমস থেকে বিদায় নিয়েছেন।

৫০ কেজি ওজন শ্রেণীতে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ভঙ্গিতে ছিলেন জিনাতের প্রতিপক্ষ মঙ্গোলিয়ান ইয়ুসগেন। তিন মিনিটের প্রথম রাউন্ডের ফাইটে জিনাতে একটু সমান তালেই লড়েছিলেন। পরের দুই রাউন্ডে নিজেকে সামলাতেই বেশি সময় গিয়েছে তার। প্রতিপক্ষ বক্সারকে খুব কমই কুপোকাত করতে পারছেন। উল্টো মঙ্গোলিয়ান বক্সারের পাঞ্চে বিধ্বস্ত হয়েছেন একাধিকবার। 

তিন মিনিট করে তিন রাউন্ড শেষে জাজরা ফলাফল ঘোষণা করেন। সেই ফলাফলে মঙ্গোলিয়ান বক্সার ইয়ুসগেন বেশ সহজেই জয়লাভ করেছেন। পাঁচজন জাজই প্রতি রাউন্ডে মঙ্গোলিয়ান বক্সারের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। ফলে জিনাত ৫-০ পয়েন্টে হেরেছেন। 

জিনাত আমেরিকায় প্রাদেশিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় খেলেছেন। আমেরিকায় বক্সিংয়ের চর্চা ও মান অত্যন্ত উন্নত। তাই বাংলাদেশি আমেরিকান বক্সার বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাওয়ায় সরাসরি তাকে এশিয়ান গেমসে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দিয়েছে ফেডারেশন। জিনাতের বাংলাদেশের অভিষেকটা অবশ্য সুখকর হলো না। 

গেমসে বক্সিংয়ে ৫০ কেজি ড্রয়ে প্রথম রাউন্ডে বাই পান জিনাত। সরাসরি রাউন্ড ১৬ তে বাংলাদেশের জার্সিতে আজ প্রথম নামেন আমেরিকান প্রবাসী। একদিক অভিষেক আরেক দিকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় তাই জিনাতের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। মিক্সড জোনে ইংরেজিতে বলা অনুভূতির বাংলায় অর্থ এ রকম দাঁড়ায় , ' বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে ভালো লাগছে। আমার প্রতিপক্ষ বেশ শক্তিশালী ছিল। আমি লড়াই করেছি।

এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের একটি ব্যক্তিগত পদক সেটি ১৯৮৬ সালে। বক্সার মোশাররফ হোসেনের পর জিনাতকে নিয়ে আশা দেখছিল বাংলাদেশ। এই এশিয়াডে জিনাত রাউন্ড ১৬ তে থেমে গেলেও বাংলাদেশকে আশায় রাখছেন এই নারী বক্সার , ‘আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাই। এটা মাত্র শুরু সামনে অবশ্যই ভালো কিছু করব।’ তার আমেরিকান কোচ কলিন্সও শিষ্যের প্রতি ভরসা রাখতে বললেন বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের। 

আমেরিকায় বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ভালো করা জিনাত এশিয়ায় রাউন্ড ১৬ তে'ই বিদায় নেওয়ায় খটকা লাগছে অনেকেরই। এই প্রশ্নের উত্তরে জিনাত বলেন, 'এশিয়াতেও ভালো বক্সার রয়েছে। আমার প্রতিপক্ষ বক্সার বেশ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও পেশাদার।'

বিগত সময়ে অনেক খেলায় প্রবাসীদের সরাসরি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুযোগ দেয় বাংলাদেশের ফেডারেশন। মান নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে অনেক আগে। তবে জিনাত বাংলাদেশের বর্তমান নারী বক্সারদের চেয়ে এগিয়ে বললেন ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক, 'সে প্রতিটি রাউন্ডেই ফাইট করেছে। বাংলাদেশের অন্য নারী বক্সারদের চেয়ে তার মান ভালো। '