উৎসবে সরগরম মঞ্চপাড়া

উৎসবে সরগরম মঞ্চপাড়া

ছবিঃ সংগৃহীত।

আবারও সরগরম হয়ে উঠছে মঞ্চপাড়া। রাজধানী ঢাকার মঞ্চপাড়াখ্যাত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির একাধিক মিলনায়তন, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি মিলনায়তন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডলে একযোগে চলছে একাধিক উৎসব।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে বহুল আলোচিত ‘গঙ্গা যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩’। গত ৬ অক্টোবর থেকে এই উৎসব শুরু হয়েছে। গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের দ্বাদশতম আসর। আয়োজক কর্তৃপক্ষ বলছেন সাংস্কৃতিককর্মীদের কাছে প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। সকল ধারার সাংস্কৃতিককর্মীরা এই উৎসবকে তারা নিজেদের উৎসব হিসেবেই গ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পাঁচটি মঞ্চ এবং মহিলা সমিতিসহ মোট ৬টি মঞ্চে এক যোগে এই উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে শিল্পকলার মুক্ত মঞ্চ এবং সন্ধ্যা ৭টা থেকে শিল্পকলার ৪টি মঞ্চ এবং মহিলা সমিতি মিলনায়তনে একযোগে মঞ্চনাটক, সঙ্গীত, নৃত্য এবং আবৃত্তির উপস্থাপনা উপভোগ করছেন দর্শক এবং অতিথিরা। এবারের উৎসবে ভারতের ৬টি প্রখ্যাত নাটকের দল অংশগ্রহণ করছে। তারমধ্যে ডলস থিয়েটার, ১৩ অক্টোবর তারিখে পাপেট-এর দুটি প্রদর্শনী করবে। শিশুদের বিনোদনের কথা বিবেচনা করে এবার উৎসবে পাপেট শো রেখেছেন আয়োজকরা। শুক্রবার জমকালো উদ্বোধন হয়েছে উৎসবের। আর গতকাল সংস্তব কলকাতার সাম্প্রতিককালের সাড়া জাগানো প্রযোজনা ‘উড়ন্ত তারাদের ছায়া’ নাটকের দুটি প্রদর্শনী হয়। একটি বিকাল ৪টায় এবং আরেকটি শো হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। এছাড়াও ভারতের আরও প্রখ্যাত ৪টি নাটকের দল, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা এবং ঢাকার বিভিন্ন নাট্যদল উৎসবে নাটক মঞ্চায়ন ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নিচ্ছে।

এই উৎসবকে ঘিরে প্রায় প্রতি বছরই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির একাধিক মঞ্চ সরগরম থাকে। এবারও একইচিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বিগত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে উৎসবকে ঘিরে দর্শক সমাগম কিছুটা কম। বরাবরের মতো এই উৎসবে ঘিরে দেশ-বিদেশের অসংখ্য নাট্যকর্মীর পদচারণায় মুখর শিল্পকলা একাডেমি। উৎসবে নতুন নাটক বিশেষ করে বিদেশি মঞ্চনাটক দেখার আগ্রহ থাকে দর্শকদের। সে কারণে এই উৎসবকে ঘিরে পুরানো দর্শকদের পাশাপাশি নতুন দর্শকেরও সমাগম ঘটে। তবে এও ঠিক, যানজটের ঢাকায় আরও একাধিক মঞ্চে এইসব উৎসবের গণ্ডি বাড়ানো হলে রাজধানী এবং এর আশপাশের মানুষও উপকৃত হবে। বিশেষ করে উত্তরা এবং গুলশান, ধানমণ্ডি এবং পুরান ঢাকায় একাধিক মঞ্চ তৈরি হলে নাট্যদর্শক আরও বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব মঞ্চে নিয়মিত নাটক মঞ্চায়ন হলে নাটকের নতুন দর্শক তৈরি হবে। মঞ্চ নাটকের পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রে বিশেষ করে নাট্যদলগুলোর জন্য সুফল বয়ে নিয়ে আসবে বলে মনে করেন অনেকেই।