ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করেছে বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স

ইসরায়েলে ফ্লাইট স্থগিত করেছে বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্স

সংগৃহীত

ফিলিস্তিন প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংঘাতের জেরে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ফ্লাইট স্থগিত করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স।

তবে কোনো কোনো এয়ারলাইন্স এখনও সীমিত সংখ্যক ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শনিবার ইসরায়েলে নজিরবিহীন অভিযান শুরু করে হামাস। এরপর রবিবার দেশটির বিমানবন্দরের নির্ধারিত সব ফ্লাইটের প্রায় অর্ধেকই স্থগিত ছিল। পরদিন সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় এক তৃতীয়াংশ ফ্লাইটই বাতিল করা হয়েছে।

জানা গেছে, আমেরিকান এয়ারলাইন্স, এয়ার কানাডা, এয়ার ফ্রান্স, ডেল্টা এয়ার লাইনস, ইজিপ্ট এয়ার, এমিরেটস, ফিনল্যান্ডের ফিনায়ার, ডাচ ক্যারিয়ার কেএলএম, জার্মানির লুফথানসা, নরওয়েজিয়ান এয়ার, পর্তুগালের টিএপি, পোলিশ ক্যারিয়ার এলওটি, রায়ানএয়ার এবং ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ফ্লাইট স্থগিত করেছে বা ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।

অপরদিকে ইসরায়েলে রাতের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া। মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এভিয়েশন সেফটি এজেন্সি এবং ইসরায়েলের এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে ইসরায়েলের আকাশসীমায় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করেছে। কিন্তু বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তা না করে ফ্লাইট স্থগিত বা বন্ধ করে দিয়েছে।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, তারা আগামী দিনগুলোতে সামঞ্জস্যপূর্ণ সময়ে ইসরায়েলে ফ্লাইট চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।

ভার্জিন আটলান্টিক জানিয়েছে, তারা কিছু ফ্লাইট চালিয়ে যাবে। তবে গ্রাহকরা পুনরায় টিকিট বুক করা বা ফেরতের জন্য অনুরোধ জানাতে পারবেন।

রবিবার এবং সোমবার তেল আবিবে ফ্লাইট বন্ধ করেছে যুক্তরাজ্যের ইজিজেট। এছাড়া হাঙ্গেরিয়ান বাজেট ক্যারিয়ার উইজ এয়ার পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত তেল আবিবের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করেছে। এজিয়ান, সুইস এবং অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্সের মতো অন্যান্য এয়ারলাইন্সও ফ্লাইট স্থগিত করেছে। চীন, হংকং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার এয়ারলাইন্সগুলোও তেল আবিবে ফ্লাইট বাতিল করেছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ভোরে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ঢুকে অভিযান শুরু করে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যোদ্ধারা। এতদিন ইসরায়েলের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে ফিলিস্তিন। শনিবারই প্রথমবারের মতো আগে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। 

তবে অনতিবিলম্বে ইসরায়েলও পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। তারা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। পাল্টা আক্রমণে দেশটি গাজায় মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণ করছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

এছাড়াও ইসরায়েলের হামলায় বহু সংখ্যক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। 

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইসরায়েল’ দাবি করেছে, হামাসের হামলায় এরই মধ্যে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। সেখানেও বহু সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছে। সূত্র: সিএনএনআল জাজিরা