জনবল সংকটে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রশাসনের কাজে প্রতিবন্ধকতা

জনবল সংকটে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রশাসনের কাজে প্রতিবন্ধকতা

প্রতীকী ছবি।

৫ ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রশাসনের কার্যক্রম। আবার কোন কোন কর্মকর্তা সময়মত অফিসে আসেন না। ফলে সরকারী সেবা প্রদানে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২৭টি দপ্তরের মধ্যে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর চলছে ভারপ্রাপ্ত ও অতিরিক্ত দিয়ে। অন্যদিকে অফিসগুলোতে বিভিন্ন দৈনন্দিন কার্যক্রম না হওয়ার কারনে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ। আবার এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই কর্মস্থলে আসেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘ ২ বছর ধরে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা নেই। সহকারী মৎস কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আলিম বদলি হওয়ার পর এই পদটি শূন্য হয়। পরে চাটখিল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পলাশ সমাদ্দার দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এই উপজেলায় মাঝে মধ্যে এসে ফাইলে স্বাক্ষর করে চলে যান।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় প্রায় দেড় বছর ধরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ইমরান হোসেন।

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শান্ত রায় এখান থেকে বদলি হওয়ার পর সিনিয়র সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল বাশার দায়িত্ব পালন করছেন।

উপজেলা বন কর্মকর্তা সামসুজ্জামান চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে ভারতে গেলে অতিরিক্ত দায়িত্ব পায় পার্শবর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা শামসুদ্দিন। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে দায়িত্ব বুঝে নিতে চাইলে সামসুদ্দিন তালবাহানা করে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়নি।

বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দিন একই সাথে সেনবাগ ও বেগমগঞ্জের দায়িত্বে থাকায় শুধুমাত্র মাসিক মিটিং ছাড়া উপজেলায় আসেন না।

এছাড়াও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মজুমদার অফিসে কোন সপ্তাহে একদিন আসেন আবার কোন সপ্তাহে আসেন না। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কাছে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা গোলামুর রহমান, উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ শুভ সূত্রধর ও পরিসংখ্যান কর্মকর্তা খেয়াল খুশিমত অফিস করেন বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

সচেতন মহলের অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত, অতিরিক্ত ও রীতিমত কর্মস্থলে না থাকায় উপজেলা প্রশাসন ন্যুয়ে পড়েছে। ফলে এইসব দপ্তর থেকে সেবা নিতে আসা লোকজন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসমাইল হোসেন জানান, এ নিয়ে সেবাগ্রহীতারা মৌখিক অভিযোগ করলে তিনি প্রত্যেকটি দপ্তরে গিয়ে অনুপস্থিতির সত্যতা পান। তবে সরকারী গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি দপ্তরে ভারপ্রাপ্ত ও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।