কুষ্টিয়ায় কাস্টমসের অভিযানে দুই লক্ষ শলাকা নকল আকিজ বিড়ি জব্দ

কুষ্টিয়ায় কাস্টমসের অভিযানে দুই লক্ষ শলাকা নকল আকিজ বিড়ি জব্দ

ছবি: প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে দুই লক্ষ শলাকা নকল আকিজ বিড়ি জব্দ করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া কাষ্টমস সার্কেল-২ ভেড়ামারার কাষ্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মেহেদী হাসান এ অভিযান পরিচালনা করেন।  

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু চক্র ও কিছু ডিলা‌র দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে জাল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে নকল আকিজ বিড়ি উৎপাদন করে আসছে। এই উৎপাদিত নকল আকিজ বিড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ ও বিক্রি করছে চক্রটি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া কাষ্টমস সার্কেল-২ ভেড়ামারার কাষ্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম দৌলতপুর উপজেলার ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের তছিবুলের বাড়িতে অভিযান ও তল্লাশি চালায়। এসময় ওই বাড়ি থেকে পাঁচ বস্তায় দুই লক্ষ (২,০০,০০০) শলাকা নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত আকিজ বিড়ি জব্দ করা হয়।

অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। অভিযানকালে এলাকার লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করে।

অভিযান শেষে জব্দকৃত নকল আকিজ বিড়ি জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমান নকল আকিজ বিড়ি ও কমদামী অবৈধ বিড়ি উৎপাদন হচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব হারাচ্ছে। নকলের বিরুদ্ধে র‌্যাব, পুলিশ এবং কাস্টমস, এক্সাসাইজ ও ভ্যাট বিভাগের অভিযান ও তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তারা।

রাজস্ব কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, অভিযানে বিপুল পরিমান অবৈধ বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমান বিড়ির ঠোস, জাল ব্যান্ডরোলসহ বিড়ি তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। নকলের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কেউ অবৈধভাবে বিড়ি বিক্রি ও বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।