চসিককে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বললেন, টাকা আদায় করার বহু পথ আছে

চসিককে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বললেন, টাকা আদায় করার বহু পথ আছে

ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সড়ক ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যদি টাকা না দেয় তাহলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

 

শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে চসিক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিআরডি) উন্নয়ন কার্যক্রম সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় চসিকের কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর এক অনুরোধের জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এ পরামর্শ দেন। মন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে চসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন মন্ত্রী। সিটি করপোরেশনের ২০ নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা সরকার নেয়। চল্লিশ হাজার, পঞ্চাশ হাজার, ষাট হাজার কোটি টাকা নেয়। এক হাজার কোটি টাকা আমাদের দিলে বন্দর গরিব হয়ে যাবে? আমরা কারও কাছ থেকে ট্যাক্স বাড়াতে পারছি না। আমরা যদি ট্যাক্স বাড়াতে যাই, এ শহরের মানুষ আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। পার্টির বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। আমার মেয়র জোর করে ট্যাক্স আদায় করতে পারবে না। কাউকে জোর করে আমরাও পারবো না। বন্দর হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশে খরচ করে, আমাদের কিছু দেয় না।

তখন কাউন্সিলরকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা আগেই সিদ্ধান্ত দিয়েছি। তখন বন্দর চেয়ারম্যানও ছিলেন। আপনারা আদায় করেন না কেন? আদায় করার বহু পথ আছে। আমি কী সব কথা এখানে বলে দেবো? আপনার রেভিনিউ ইনকামের জন্য আপনি চিন্তা করবেন না? এজন্য যে ধরনের অ্যাফোর্ট দেওয়া দরকার, তা আপনি করবেন না? আপনার রাস্তা ব্যবহার করে, তাতে বছরে হাজার কোটি টাকা খরচ হয়, এগুলো মেটাবে কোত্থেকে? এখানে সব কথা মন্ত্রী বলবে?

তখন মন্ত্রীকে উদ্দেশ করে কাউন্সিলর বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

এসময় মন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বন্দর চসিকের সড়ক ব্যবহারের বিষয়ে একটি এজেন্ডা পড়ে শোনান। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন-২০২২ এর খসড়ায় বন্দরের মোট আয়ের এক শতাংশ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে প্রদানের বিষয়ে প্রস্তাবনা হিসেবে থাকলেও পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত আইনে সন্নিবেশিত হয়নি বলে তিনি জানান।