আড়াই মাস পর ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে বেনাপোল বন্দরে পণ্য আমদানি শুরু

আড়াই মাস পর ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে  বেনাপোল বন্দরে পণ্য আমদানি শুরু

যশোর প্রতিনিধি

দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে বেনাপোল বন্দরে আমদানি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের ঢাকার আমদানিকারক এইচ এম সি এল নিলয় হিরো হুন্ডা কোম্পানী লিমিটেড এর ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে করে মোটরসাইকেলের পার্টস আমদানির মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যক কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিকে আমদানি শুরুর খবর শুনে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরের হাজার হাজার শ্রমিক কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। দীর্ঘ আড়াই মাসের অধিক সময় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছিল। আমদানিকারকরাও স্বস্তির নি:শ^াস ফেলেছে আমদানি-রপ্তানি চালুর খবর শুনে। আগামীকাল সোমবার থেকে অন্যান্য পণ্য ভারত থেকে আমদানি হবে বলে জানা গেছে।

ভারতের বারাসাত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয়েছে, শর্ত সাপেক্ষে আগামী ১৪ইজুন পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি চালু থাকবে। পরবর্তীতে পরিবেশ পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। শুধু মাত্র ড্রাইভাররা পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এজন্য ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ১’শ জন ট্রাক চালককে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা থাকায় সীমান্ত অতিক্রমের আগেই গাড়ি চালকদের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করা, ট্রাকগুলো উভয় দেশে স্যানিটাইজ করা, ফেরার সময়ও চালকদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। বাধ্যতামূলকভাবে ট্রাক ড্রাইভারদের পিপিই পরিধান করে দ্রæত পণ্য খালাস করে দিনে দিনে ট্রাকগুলো ফিরে যাবে।

গত বৃহস্পতিবার ৪ জুুন বিকেলে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দু’দেশের প্রশাসন ও ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে এক বৈঠক হয়। দু’দেশের এ বৈঠকের পর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সড়কপথে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে শনিবার সকাল থেকে আমদানি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল শনিবার ভারতের পশ্চিমবাংলার বারাসাতের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত পত্র দেরিতে আসায় পেট্রাপোল বন্দর থেকে বেনাপোল বন্দরে কোন পণ্য আমদানি হইনি।

এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় চালকরা বন্দরের বাইরে যেতে না পারে সে ব্যাপারে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।