ইসরাইলের হামলায় গাজার ২৮ চিকিৎসা-সেবাদানকারী নিহত ​

ইসরাইলের হামলায় গাজার ২৮ চিকিৎসা-সেবাদানকারী নিহত ​

ইসরাইলের হামলায় গাজার ২৮ চিকিৎসা-সেবাদানকারী নিহত ​

 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮ জন চিকিৎসাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরাইলের গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় গাজায় ১৫টি হাসপাতাল বিধ্বস্ত হয়েছে, আরো দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার মতো পরিস্থিতি আর নেই। ২৩টি অ্যাম্বুলেন্সকে নিশানা করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে সবগুলো অ্যাম্বুলেন্স গুঁড়িয়ে গেছে।এর আগে গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর এক ভিডিও বার্তায় ইসরাইল বাহিনী‘পৃথিবী থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন’ করে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।

এছাড়া ইসরাইলের নেতারা বলেন, ‘গাজা আগে যা ছিল সেই অবস্থায় আর কখনো ফিরে যাবে না। হামাস নেতাদের পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করা হবে।’

ইতোমধ্যে গাজার বিমান হামলা চালিয়ে বেসামরিক বাসিন্দাদের গণহত্যা শুরু করার পর গতকাল স্থল অভিযানে ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল।

স্থল অভিযানে অংশ হিসেবে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেসামরিক বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে শুক্রবার নির্দেশনা দিয়েছিল ইসরাইলি বাহিনী। ওই সময়সীমা পার হওয়ার পর শনিবার আরো ছয় ঘণ্টা সময় দেয়া হয় দুটি নির্দিষ্ট রাস্তা ব্যবহার করে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণে সরে যাওয়ার জন্য। এরপর রোববার সকালে আবারো তিন ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়া হয় বেসামরিক বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্য। প্রাথমিকভাবে এই সময়সীমা ছিল স্থানীয় সময় দুপুর একটা (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা) পর্যন্ত। তবে সবশেষ খবর পর্যন্ত তারা আরো ৪০ মিনিট বাড়িয়েছে এই সময়সীমা।বেসামরিক বাসিন্দাদের পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে উত্তর গাজার হাসপাতালগুলো খালি করারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ইসরাইলি সেনাদের পক্ষ থেকে।

কিন্তু ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট কমিটি শনিবারই জানিয়ে দেয় তারা অসুস্থ ও আহতদের সেবা দিতে থাকায় হাসপাতাল খালি করে যেতে পারবে না।দাতব্য সেবা সংস্থা মেডিসাঁ সাঁ ফ্রঁতিয়ের নির্বাহী পরিচালক ডা. নাটালি রবার্টস মন্তব্য করেছেন যে কয়েক ঘণ্টার নোটিশে গাজার হাসপাতাল থেকে সরে যাওয়া ‘অসম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘তাদের যাওয়ার কোনো জায়গাই নেই। গাজার দক্ষিণের হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণ ভরে গেছে। তাছাড়া পুরো গাজাতেই এখন কোনো বিদ্যুৎ নেই।’এছাড়াও দক্ষিণ গাজার হাসপাতালগুলোতে রোগীদের স্থান সঙ্কুলান করাও কঠিন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।হাসপাতাল খালি করার নির্দেশনাকে রোগীদের জন্য ‘মৃত্যুদণ্ড’-এর শামিল হিসেবে মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তারা আরো জানিয়েছে যে, গাজার দুটি হাসপাতালে কোনো সেবা দেয়া যাচ্ছে না এবং ১৫টি মেডিক্যাল সেন্টার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।গত সপ্তাহ থেকে চলমান সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ইসরাইলে ২৭৯ জন সৈন্যসহ সব মিলিয়ে ১ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ইসরাইলের হামলায় ২ হাজার ৩০০ জনের বেশি গাজাবাসী নিহত হয়েছেন।

সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি