তৃতীয় মেয়াদে রাসিক মেয়রের দায়িত্ব নিলেন লিটন

তৃতীয় মেয়াদে রাসিক মেয়রের দায়িত্ব নিলেন লিটন

তৃতীয় মেয়াদে রাসিক মেয়রের দায়িত্ব নিলেন লিটন

রোববার (১৫ অক্টোবর) এ উপলক্ষে দুপুরে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় নির্বাচিত মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত ৪০ জন কাউন্সিলরের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র ও কাউন্সিলরদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হয়। পরে বিকেলে নগর ভবনে মেয়র দফতরকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেয়র লিটন।

এ সময় মেয়রের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিন। নবনির্বাচিত পরিষদের উপস্থিতিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর দাফতরিক কার্যক্রম শুরু করেন মেয়র।

গত ২১ জুন রাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীক নিয়ে এক লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে পুনঃনির্বাচিত হন। গত ৩ জুলাই মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ প্রথম মেয়াদে এবং ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে রাসিকের মেয়র ছিলেন খায়রুজ্জামান লিটন।

অভিষেক অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নগরীর হাইটেক পার্কের পশ্চিমে পদ্মানদী ধারে নৌবন্দর স্থাপন করতে যাচ্ছি। ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান ও মায়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত নৌরুট চালু হলে ভারত থেকে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা যাবে। রাজশাহী থেকে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করা হবে। আগামী দিনে এই নৌবন্দর হবে রাজশাহী বিভাগের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নৌরুটটি প্রাথমিকভাবে চালু হবে।

তিনি বলেন, স্মার্ট রাজশাহী গড়তে প্রকল্প শুরু হচ্ছে। আগামী ১৯ অক্টোবর হাইটেক পার্কে স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা হবে। সেখানে স্পটেই অনেক তরুণ-তরুণীর চাকরি হবে। এটি আমার প্রতিশ্রুতি সূচনামাত্র।

তিনি আরো বলেন, শিল্পায়নের জন্য রাজশাহীতে বিসিক শিল্পনগরী-২ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে প্রায় ৩০০ প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হবে।আজ সন্ধ্যায় ৩০টি প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হবে। রাজশাহীর উন্নয়ন হয়েছে, এটি চলমান থাকবে। আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, লাখ লাখ মানুষ যেভাবে আমাদের ভালোবেসেছে, দোয়া করেছে, আস্থা রেখেছে, মাঝে মাঝে মনে হয় এর প্রতিদান দিতে পারব তো? আমি গত দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছি। রাজশাহীতে যারা বেড়াতে আসেন, শহরের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন, তারা রাজশাহীকে দেশের সেরা নগরী বলেন।

মেয়র লিটন আরো বলেন, আমি কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকলের উদ্দেশে বলি যখন নগর ভবনে প্রবেশ করবেন, রাজনৈতিক পরিচয়ের পোশাকটি খুলে প্রবেশ করবেন। সবাইকে সমানভাবে নাগরিক সেবা প্রদান করবেন। নগর ভবন থেকে বেরিয়ে আপনি পছন্দের দল করতে পারেন, সেটি আপনার বিষয়।

তিনি আরো বলেন, এবার আমার নির্বাচনী স্লোগান ছিল ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান।’ এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে এটি উল্লেখ থাকবে। আর নির্বাচনে সারাদেশে যে শহরটিকে শোকেসিং করা হবে, সেটি হবে রাজশাহী।

রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রাসিকের সাবেক মেয়র আব্দুল হাদী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও রাবির সাবেক ভিসি প্রফেসর আব্দুল খালেক, রাবির ভিসি প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহীর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আদিবা আঞ্জুম মিতা, প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা-বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মেয়র লিটনের মেয়ে ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, রাসিকের ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড-১ কাউন্সিলর তাহেরা খাতুন মিলি। এতে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ বারকুল্লাহ বিন দুরুল হুদা।

অনুষ্ঠানে মেয়র লিটনের সহধর্মিণী ও মহানগর আ’লীগের সহসভাপতি শাহীন আকতার রেণী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: জাকীর হোসেন, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জি এম অসীম কুমার তালুকদার, আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জসিম উদ্দিন হায়দার, রাবির উপ-ভিসি সুলতান-উল-ইসলাম ও উপ-ভিসি প্রফেসর হুমায়ুন কবীর, উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল গণি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানমঞ্চে অন্যদের মধ্যে নবনির্বাচিত ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুজ্জামান, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানে আলম খান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস আলী সরদার, ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু বাক্কার কিনু, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস সোবহান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত আলী শাহু, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল আযীম, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরমান আলী, ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলিফ-আল-মাহামুদ লুকেন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতারুজ্জামান কোয়েল, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহের হোসেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাউদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর তাহেরা খাতুন, শিউলি, সেবুন নেসা, আলতাফুন নেছা, সামসুন নাহার, মমতাজ মহল, সুলতানা আহমেদ সাগরিকা, নাদিরা বেগম, কাউন্সিলর ফেরদৌসী ও সুলতানা রাজিয়া উপস্থিত ছিলেন।