শ্রমিক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৩

শ্রমিক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৩

সংগৃহীত

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি আজিজ মহাজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (অপস) আমিনুল ইসলাম।

গ্রেফতাররা হলেন, শাহাদাত মন্ডল (৬৫), রাফি মন্ডল (৩২) ও মেহেদী হাসান দিপু (৩০)। 

আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল নারুয়া ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মুন্না আজিজ মহাজনের। বিরোধকে কেন্দ্র করে মুন্নাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্না মোটরসাইকেল নিয়ে তার ভাইয়ের বাসা থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে কোনাগ্রামস্থ একটি পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা ৩২ থেকে ৩৩ জন লোক তাকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র (রামদা, চাইনিজ কুড়াল, ছেনদা, লোহার রড ও বাশের লাঠি ইত্যাদি) নিয়ে হামলা করে।

তিনি আরও বলেন, আজিজ মহাজনকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রামদা, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকেন তারা। এতে আজিজ মহাজন মোটরসাইকেল থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় অন্য সহযোগীরা তাদের কাছে থাকা লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করতে থাকেন।  ফলে আজিজের শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। তার নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। আজিজের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আজিজকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত সোমবার কর্তব্যরত চিকিৎসক আজিজকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পর মৃত আজিজের ভাই মো. আব্দুর রহমান বাদী হয়ে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি থানায় শাহাদাত ও রাফিসহ ২৪ জন এবং অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।