পূজায় গুণে গুণে ঠাকুর দেখি: সঞ্চিতা দত্ত

পূজায় গুণে গুণে ঠাকুর দেখি: সঞ্চিতা দত্ত

সংগৃহীত

পূজার সময় বেশ রোমাঞ্চিত থাকি। এক মাস আগে থেকেই শপিং শুরু করি। পরিবারকে সময় দিই। এক মাস আগেই আমার পূজা শুরু হয়ে যায় – পূজা প্রসঙ্গে এভাবেই বলতে শুরু করলেন চলতি সময়ের দীর্ঘাঙ্গীনি মডেল ও অভিনেত্রী সঞ্চিতা দত্ত।

আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন রাজশাহীতে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখন এ অভ্যাস থাকলেও কাজের চাপে তার ব্যতয় ঘটেছে। তিনি বললেন, এখন আর এক মাস আগে বাড়ি যেতে পারি না। চেষ্টা করি অন্তত ১০ দিন আগে যেতে। এবার তাও হয়নি। শুটিং করছি। তবে, ইচ্ছা আছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ৬ষ্ঠী ও ৭মী কাটাব। এরপর বগুড়ায় শেষের তিন দিন থাকব। মণ্ডপে ঘুরবো। ঠাকুর দেখব।

সঞ্চিতা যোগ করে আরো বললেন, এবার মায়ের সঙ্গে থাকতে পারছিনা। মা একাই নাড়ু মোয়া বানাচ্ছে। এবার গত ঈদের সময়ই পূজার কেনাকাটা করে ফেলেছি। কিছুদিন আগে কলকাতায় গিয়েও শপিং করেছি। ছোটদের জন্য আরো কিছু শপিং বাকি আছে।

সঞ্চিতা জানালেন এখনো তিনি ছোটবেলার মতো পূজা উপভোগ করেন। অনেকগুলো পোশাক কিনেন। তিনি বলেন, ছোটবেলায় যে আনন্দ হতো এ সময়ে এসেই তাই অনুভূত হয়। মহালয়ার পর শীত লাগে। এবার তা হচ্ছে না। পূজা পিছিয়ে গেছে গতবারের তুলনায়। এবার মা দূর্গা ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে আসবে। পঞ্জিকা দেখে জেনেছি। এতে করে নাকি শরীর স্বাস্থ্য ভালো যায় না।

পূজার দিন কী করবেন জানতে চাইলে সঞ্চিতা বললেন, পূজা এখন আমাদের ঐতিহ্য। সবাই যায়। উৎসব করে। আমি পূজার দিনগুলো গুণে গুণে ঠাকুর দেখি। ভীড় এড়াতে রাতে ঘুরি। প্রচুর নাচানাচি করি। যেটা হয়, সকালবেলা অঞ্জলী দিয়ে প্রসাদ খেয়ে দাদুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। এ সময় বাইরে খাওয়া দাওয়া করা হয়।

তিনি সবশেষে বলেন, দশমীতে সবাই পাড়ায় থাকি। কিন্তু সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত বিভিন্ন পাড়ায় ঘুরে বেড়াই। বাজনার তালে সবাই নাচে। আমাদের ‘মেঘদূত ক্লাব’– এর পক্ষ হতে নিরাপত্তার বিষয়টা দেখা হয়। আমি কখনো রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখিনি এ সময়ে। ঠাকুর ডোবানো হয় আমাদের বাড়ির ঘাটে। সবাই বিসর্জন দেখতে আসে। এরপর বড়দের সবাইকে প্রণাম করি। তারা প্রণামী দেয়। আমি ছোটদের মিষ্টি, চকলেট এসব দিই।