রানের পাহাড় অস্ট্রেলিয়ার, পাকিস্তানকে জিততে হবে রেকর্ড গড়ে

রানের পাহাড় অস্ট্রেলিয়ার, পাকিস্তানকে জিততে হবে রেকর্ড গড়ে

সংগৃহীত

হারিস রউফ-শাহিন শাহরা জেগে উঠলেন বটে। তবে ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। ওয়ার্নার আর মার্শ মিলে অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গেছেন অনেক উপরে। দু'জনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে অজিরা। তাই পাকিস্তানকে জিততে হবে রেকর্ড গড়েই। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এতো রান তাড়া করে আগে জেতেনি কেউ।

জোড়া হারের ধাক্কা আগের ম্যাচেই কাটিয়ে উঠে অস্ট্রেলিয়া। সেই ধারা ধরে রাখতে আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় তারা। এম চিন্নাস্বামী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার মুখোমুখি হয় উভয় দল। যেখানে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। তবে বোলাররা পারেননি অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা পূরণ করতে।

ডেভিড ওয়ার্নার এর আগেও দেড় শ’ রানের গণ্ডি পেরিয়েছেন ৬ বার। সর্বোচ্চ সংগ্রহ ১৭৮। আজ সম্ভাবনা ছিল সব ছাপিয়ে নতুন কিছু করার। দ্বিশতক ডাকছিল হাতছানি দিয়ে। তবে তা আর হয়নি, ১২৪ বলে ১৬৩ রানেই থামতে হয়েছে তাকে। তখনো অবশ্য ইনিংসের বাকি ৮.২ ওভার।

অবশ্য দেড়শতক নয়, কিংবা অর্ধশতক নয়; ওয়ার্নার ফিরতে পারতেন মাত্র ১০ রানেই। পঞ্চম ওভারেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। যা তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন উসামা মীর। বাকি সময়টা জুড়ে তার সেই ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

৩৯ বলে ফিফটি, ৮৫ বলে ওয়ার্নার পূরণ করেন সেঞ্চুরি। শুধু ওয়ার্নার নয়, শতক তুলে নেন অস্ট্রেলিয়ার অপর ওপেনার মিচেল মার্শও। ৩১তম ওভারে পরপর দুই শতক পূরণ করেন উভয়ে। তাদের কল্যাণেই বিশ্বকাপ ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে নিজেদের সর্বোচ্চ ৮২ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।

৩৩.৫ ওভারে দলীয় ২৫৯ রানে ভাঙে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি। ততক্ষণে অবশ্য রেকর্ড হয়ে গেছে, বিশ্বকাপ ইতিহাসে ওপেনিং জুটিতে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। মিচেল মার্শকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন শাহিন, পরের বলেই গোল্ডেন ডাক উপহার দেন ম্যাক্সওয়েলকে। মার্শ আউট হন ১০ চার ৯ ছক্কায় ১০৮ বলে ১২১ রান করে।

দ্রুত ফেরেন স্টিভেন স্মিথও। ৯ বলে ৭ রান করে আউট হন মীরের বলে। তবে একপ্রান্ত আগলে রানের গতি ঠিক রাখেন ওয়ার্নার। পাড়ি দেন দেড় শ’ রানের গণ্ডিও। তবে ৪২.২ ওভারে হারিস রউফের শিকার হয়ে থামে তার ইনিংস। দলের সংগ্রহ তখন ৩২৫।

এরপর স্টয়নিসের ২৪ বলে ২১, লাবুশানের ১২ বলে ৯ ছাড়া বলার মতো রান পাননি কেউই। বলা যায় সুযোগ দেননি আফ্রিদি-রউফরা। আফ্রিদি তো জাগিয়ে তোলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও। যদিও তা হয়নি, তবে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। হারিস রউফ নেন ৩ উইকেট। অন্যথায় অনায়াসে অজিদের সংগ্রহ পেরিয়ে যেতো চার শ’ রানে।