দুই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

দুই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জ সদরের ইছামতীতে দুই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ এদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতী গ্রামের মেরাজুল ইসলাম ও লোকমান খান এবং চকচণ্ডী গ্রামের সবুজ ও বাবু শেখ। তাদের মধ্যে মেরাজুল মামলার প্রধান আসামি।

এর আগে শনিবার রাতে নিহত আলামিনের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

প্রসঙ্গত, জেলা সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতী গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে আলামিনের পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের হায়দার আলীর পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার রাতে আল-আমিন ও তার বন্ধু আল-আমিন শেখের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলায় চালায় হায়দার আলীর লোকজন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আল আমিনের। গুরুতর আহত হন তার বন্ধু আল-আমিন শেখ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত আলামিনের বড় ভাই হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম সবে শুরু হয়েছে। এর আওতায় গ্রহকদের আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তার চিকিৎসা ব্যয়ও এর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, এ কার্যক্রম শুরুর আগেই বিধিমালা জারি করে কতদিন কত টাকা জমা দিলে কী পরিমাণ সম্ভাব্য পেনশন সুবিধা পাওয়া যাবে তা জানানো হয়েছে। তবে তখন ট্রেজারি বন্ডের বিনিয়োগ সুদহার আরও কম ধরা হয়। কিন্তু বিনিয়োগ করতে গিয়ে দেখা গেল, সুদহার ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। পেনশনারদের প্রাপ্তি আরও কিছুটা বাড়বে।

অনুষ্ঠানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার– এমন এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, কভিড আমাদের জন্য খুবই সমস্যা ছিল। এরপর একের পর এক যুদ্ধ শুরু হয়। সরকারের যেসব সুযোগ রয়েছে সেগুলো ব্যবহার হচ্ছে।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ৯ শতাংশ ও আমানতের সুদের হার ৬ শতাংশ বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সে সময় সুদের হার নয়ছয় বেঁধে দেওয়া না হলে আজ ব্যাংকিং খাত খুঁজে পাওয়া যেত না।

জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে ভারত থেকে অনেক খাদ্যদ্রব্য আসত। এখন তেমন আসে না। আগে তারা দিতে পারত, এখন দিতে পারে না। আমাদের ব্যবস্থা করতে হবে। মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে সরকার।