গাজায় শতাধিক চিকিৎসাকর্মী নিহত

গাজায় শতাধিক চিকিৎসাকর্মী নিহত

গাজায় শতাধিক চিকিৎসাকর্মী নিহত

ইসরাইলি হামলা ও জ্বালানির অভাবে গাজায় শতাধিক চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, অবরুদ্ধ গাজায় হামলা ও জ্বালানির অভাবে ১২৪ জন চিকিৎসাকর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়া ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার বাইরে রয়েছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে আশরাফ আল-কুদরার সূত্রে আরো বলা হয়েছে, ইসরাইলের সামরিক অভিযানের পর এখন ৩২টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও পরিষেবার বাইরে রয়েছে।

এদিকে হামাস শাসিত গাজা উপত্যকায় তাদের দ্বিতীয় পর্বের যুদ্ধ শুরু করেছে। এবার গাজার দক্ষিণ-পূর্ব অংশ থেকে প্রচুর ট্যাঙ্ক পশ্চিমে গাজা সিটির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

তারা এখন একটি সংযোগস্থলের কাছাকাছি, যা গাজার বিভিন্ন অংশকে সংযুক্ত করে। যদি তারা সেখানে পৌঁছে জংশনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, তবে কার্যকরভাবে তারা গাজার দক্ষিণ ও উত্তরকে বিভক্ত করে ফেলতে পারবে। এতে উল্লেখযোগ্যভাবে মানুষের চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি হবে।এছাড়া সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে সঙ্ঘাতে মোট যত শিশু নিহত হয়েছে, গত তিন সপ্তাহে গাজায় তার চেয়ে বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন আরো জানিয়েছে, শিশু ও সশস্ত্র সঙ্ঘাতবিষয়ক জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ২৪টি দেশে মোট দুই হাজার ৯৮৫ শিশু, ২০২১ সালে দুই হাজার ৫১৫ এবং ২০২০ সালে ২২টি দেশে দুই হাজার ৬৭৪ শিশু নিহত হয়েছে।

অপরদিকে গাজায় থাকা ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, ইসরাইল তাদেরকে গাজার গুরুত্বপূর্ণ আল কুদস হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।সংস্থাটি বলছে, এই হাসপাতালটির নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট আইসিইউতে রোগী রয়েছে। সেই সাথে ইনিকউবেটরে নবজাতক শিশু রয়েছে। তাদেরকে সরিয়ে নেয়া অসম্ভব বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।এছাড়া হাসপাতালটিতে প্রায় ১৪ হাজার বেসামরিক নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র : আলজাজিরা