নাশকতার মামলায় প্রসূতী ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা গ্রেফতার

নাশকতার মামলায় প্রসূতী ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাতেমা গ্রেফতার

প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর প্রসূতী ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ফাতেমা সিদ্দিকাকে জামায়াত শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততা, অর্থ যোগানদাতা ও নাশকতা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার তার নিজ বাড়ি থেকে আটকের পর গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। 

আজ শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বিশেষ শাখা (ডিবি) ও শাহ মখদুম থানার একদল পুলিশ নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার ডাক্তার ফাতেমার বাড়ির ভেতরে ঢোকে। এরপর ফাতেমা সিদ্দিকাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নেওয়া হয়। 

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বাড়িটিতে জামায়াতের বেশকিছু নেতাকর্মীর গোপন বৈঠকের খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য এই চিকিৎসককে থানায় নেওয়া হয়। রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ তাকে জামায়াত শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততা, অর্থ যোগানদাতা ও নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আজ দুপুরের মধ্যে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। 

ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। রাজশাহীতে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে যে কয়জন চিকিৎসকের নামডাক রয়েছে তাদের মধ্যে ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা অন্যতম। মাদারলান্ড ইনফার্টিলিটি সেন্টার নামে তার একটি হাসপাতাল রয়েছে। গত ৪ এপ্রিল এই চিকিৎসকের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে রাজশাহীর উপ-কর কমিশনার মহিবুল ইসলাম ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি এখনো কারাগারে রয়েছেন। 

গত ৭ সেপ্টেম্বর ডা. ফাতেমা সিদ্দিকার বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে ফাতেমা সিদ্দিকার ছেলে নাজমুস সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এক তরুণীকেও। বাড়িটি থেকে সেদিন মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়।