বগুড়ায় দুই মামলায় আসামি ৭৪, গ্রেফতার ৪৬

বগুড়ায় দুই মামলায় আসামি ৭৪, গ্রেফতার ৪৬

প্রতীকী ছবি

অবরোধের শেষদিন বগুড়ায় ট্রাকে আগুন, হাতবোমা বিস্ফোরণ ও যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনায় সদর থানায় করা দুটি মামলায় ৭৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। বগুড়া সদর থানা পুলিশের এসআই জাকির আল আহসান ও জাহিদ নিয়ন বাদী হয়ে মামলা দুটি করেছেন।

এছাড়াও বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের মধ্যে সদর থানা পুলিশ ৪৪ জন ও র‌্যাব সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

বগুড়া সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বারপুরে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে৷ এরপর সেখানে দুটি সিএনজি ভাঙচুর করে পাঁচটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় অবরোধকারীরা৷ পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানা পুলিশের এসআই জাকির আল আহসান বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত অনেককে আসামি করে মামলা করেছেন।

এছাড়াও বগুড়া সদরের তিনমাথায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অন্তত দশটি ট্রাক ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। এই সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে৷ এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানার এসআই জাহিদ নিয়ন বাদী হয়ে ৪১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত অনেককে আসামি করে মামলা করেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়া সদর থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে ২০ জন ২৮ অক্টোবরের পর নতুন মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়াও সন্দেহভাজন একজন রয়েছেন। বাকি ২৪ জন আগের বিভিন্ন সময়ের নাশকতা, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরণ মামলার আসামি৷ শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানা পুলিশের ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সাথে যারা সরাসরি জড়িত ও বিভিন্ন মামলার আসামি তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে র‌্যাব-১২ বগুড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করেছে।ম ৩০ অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে হওয়া মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। র‌্যাবের দাবি, ২৯ অক্টোবর বিএনপির ডাকা হরতালে থেকে নাশকতার ঘটনায় গ্রেফতার রবিউল ইসলাম (৪৫) ও আবু তাহেদ (৪৪) সরাসরি জড়িত। শুক্রবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়৷

র‌্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বলেন, নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে৷