ব্যবসার সময় ও খরচ কমিয়ে আনতে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো’ দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ

ব্যবসার সময় ও খরচ কমিয়ে আনতে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো’ দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ

ব্যবসার সময় ও খরচ কমিয়ে আনতে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো’ দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ

চট্টগ্রাম শহরে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের সময় ও খরচ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো’ পদ্ধতির দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। একইসঙ্গে তাঁরা জাতীয় লজিস্টিকস নীতিমালা প্রণয়ন এবং অধিকতর অটোমেশনের মাধ্যমে বন্দরে পণ্য খালাসের সময় হ্রাসের আহবান জানিয়েছেন।চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)‘প্রতিযোগি সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে ট্রেড ফ্যাসিলেটনশ: চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণের উপায়’ কর্মশালার আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইআরডি সচিব শরিফা খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম. আহসান, চট্টগ্রাম বিভাগের  বিভাগীয় কমিশনার  মো: তোফায়েল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটি দেশের বাণিজ্যিক কর্মকা-ে গতি আনতে বাণিজ্য সহজীকরণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাণিজ্য সহজীকরণের জন্য বাণিজ্য সংক্রান্ত নিয়ম, নীতি ও পদ্ধতিসমূহের প্রয়োজনীয় আধুনিকীকরণ ও সমন্বয় সাধন প্রয়োজন। বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবসা-বাণিজ্যের দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অর্জন এবং বাণিজ্য সম্পাদনে সময় ও খরচ কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।

তাঁরা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানির সুবিধা ক্রমশ উঠে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্য সহজীকরণ নীতি পদ্ধতিসমূহ বাস্তবায়ন করা অত্যাবশ্যক।চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর এবং এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও লজিস্টিকস খাতের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা, বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাবনাসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং তার আলোকে দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের সার্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তা পর্যালোচনার লক্ষ্যে  কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় ইআরডি সচিব মিজ শরিফা খান তাঁর বক্তব্যে বাণিজ্য সহজীকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে আরও কার্যকর সমন্বয় সাধনের আহবান জানান। ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম. আহসান আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত প্রক্রিয়াসমূহ আরও বেশী অনলাইনভিত্তিক করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য  মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বন্দরসমূহের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে  বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যকার সামুদ্রিক যোগাযোগ এবং বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইআরডি-এর অতিরিক্ত সচিব ও এসএসজিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আজিজ। তিনি এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সার্বিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় কি প্রভাব পড়তে পারে বা নতুন কি সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে সেই বিষয়ে বেসরকারি খাত বিশেষত রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রতিনিধিদের মধ্যে এখন থেকেই প্রয়োজনীয় সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
কর্মশালার মূল বিষয়বস্তুর উপর একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন ইআরডির সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্পের কম্পোনেন্ট ম্যানেজার ড. মোস্তফা আবিদ খান।

কর্মশালায় প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউইসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ এবং বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট  মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী।

সূত্র : বাসস