ক্ষোভে ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যা, স্বীকার আসামির

ক্ষোভে ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যা, স্বীকার আসামির

সংগৃহীত

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মাহবুবার রহমানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হারুন মিয়া দায় স্বীকার করেছেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, পারিবারিক বিরোধ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েছিলেন তিনি। তবে বিচার না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

সোমবার আদালতের মাধ্যমে হারুনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের ছেলে লাবিব রহমান বাদী হয়ে তাঁকে একমাত্র আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। সোমবার বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে মাহবুবার রহমানকে।

জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার মাহবুবার রহমান (৬৫) জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন রংপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি। সোমবার বিকেলে পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে রংপুর ও দিনাজপুর জেলা জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং স্থানীয়রা অংশ নেন। দলটির নেতাকর্মীরা ইউপি চেয়ারম্যানের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, রোববার রাতে চেয়ারম্যানকে ধারালো বঁটি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন সদরপুর গ্রামের হারুন মিয়া (৪৫) নামে একজন। স্থানীয় জনতার সহায়তায় তাঁকে আটক করে থানায় আনা হয়। তিনি একজন মাদকাসক্ত এবং শারীরিকভাবে দুর্বল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

ওসি জানান, কিছুদিন আগে পারিবারিক বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েছিলেন বলে জানান। কিন্তু বিচার না করায় ক্ষুব্ধ হন। এর জেরেই এ কাজ করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, পায়রাবন্দ বাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের ফার্মেসির দোকান আছে। রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় হারুন ভাইয়ের মাছের দোকান থেকে বঁটি নিয়ে তাঁর কাছে যান।

এ সময় পেছন দিক থেকে চেয়ারম্যানের গলায় কোপ মারেন হারুন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।