পাবনায় পদ্মা নদী থেকে প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার

পাবনায় পদ্মা নদী থেকে প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার

ছবি : সংবাদাতা

পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করেছেন শাকিল হোসেন (২২) নামের এক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর শেষ বর্ষের ছাত্র। তার পিতা যুবলীগ নেতা শাজাহান আলী হত্যা মামলার বাদী ছিলেন শাকিল।

ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের চররূপপুর ফটু মার্কেট সংলগ্ন পদ্মানদীর কোলে বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে কয়েকজনের সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে শাকিল পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। প্রায় সাড়ে ৬ ঘন্টা ধরে চেষ্টা করে জেলেদের নিক্ষেপ করা হাজারি বর্শিতে লাশটি ভেসে উঠে।

শাকিল ঈশ্বরদী পাকশীর নতুন রূপপুর গ্রামের মৃত শাজাহানের ছেলে ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে পরিবারের দাবী ওই হত্যা মামলার আসামীদের পক্ষ থেকে শাকিলকে ডেকে নিয়ে সুকৌশলে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আর প্রশাসন বলছে, পূর্ব পরিকল্পনা মতে শাকিলকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। না কি এটা একটা শুধুই দূর্ঘটনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনায় স্থানীয় জনগই ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী জেলেরা জানান, ঘটনার সময় নিহত শাকিলসহ ৭/৮জন নদীতে গোসল করতে ছিলো। হঠাৎ শাকিল ডুবে যান। দু’জন বাদে অন্যরা সবাই চলে যায়। তবে গোসল করার সময় অন্যরা শাকিলকে ডুবিয়ে মেরেছে না এটা দূর্ঘটনা তা তারা জানেন না।

নিহত শাকিলের চাচা হানিফ জানান, দুপুর আনুমানিক সোয়া ১২ টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে শাকিল বের হয়। এরপর পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর পান তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে তার সঙ্গে নদীতে গোসল করতে যাওয়া স্বদেশ ও কাওছারকে জনগণ আটক করে।

হানিফ অভিযোগ করে বলেন, তার ভাই শাজাহানকে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী হত্যা করেছে। সেই মামলার বাদী ছিলেন শাকিল। হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ কয়েকজন এখনো জেল হাজতে রয়েছে।

শাকিলকে ডেকে এনে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনাকারীদের কেউ কেউ সম্প্রতি জেল হাজত থেকে বের হয়ে এসেছে। তারাই শাজাহান হত্যা মামলার বাদীকে হত্যার জন্য জেলখানাতে বসেই পরিকল্পনা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গোসলের নামে শাকিলকে ডেকে এনে পদ্মানদীর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) বিকাশ চক্রবর্তি জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহত শাকিলের সঙ্গে গোসল করতে যাওয়া ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হচ্ছে শাকিলকে সুকৌশলে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।